বহিষ্কারের সুপারিশ, জবাব তৈরি মইনুলেরও

কয়েক দিন আগেই মইনুল প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই দলের সদস্যপদ নবীকরণ করা হয়ে গিয়েছিল তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪২
Share:

সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন মইনুল। ছবি: সংগৃহীত।

সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিণতিই হতে চলেছে মইনুল হাসানের। প্রাক্তন এই সাংসদকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। আলিমুদ্দিনে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে দলের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে মইনুলকে বহিষ্কারের সুপারিশ পেশ হওয়ার কথা। তার পরেই হতে পারে চূড়ান্ত ঘোষণা। শাসক শিবির সূত্রের খবর, মইনুলের সঙ্গে তৃণমূলের কথাবার্তা এগোচ্ছে।

Advertisement

কয়েক দিন আগেই মইনুল প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই দলের সদস্যপদ নবীকরণ করা হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তাই প্রথা মেনে তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বহিষ্কার করতে হবে সিপিএমকে। যে ভাবে অতীতে রাধিকারঞ্জন প্রামাণিক বা সাম্প্রতিক কালে প্রসেনজিৎ বসু, জগমতী সাঙ্গওয়ানেরা দল ছাড়ার ঘোষণা করার পরে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। মইনুলের সদস্যপদ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির কাছে চেয়েছিল আলিমুদ্দিন। সেই রিপোর্ট এবং প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে গঠিত দলীয় তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে বুধবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানেই ঠিক হয়েছে, বহিষ্কারের সুপারিশ রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হবে সিলমোহরের জন্য। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘মইনুলের জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আর কোনও পথ রইল না!’’

মইনুল অবশ্য বলছেন, ‘দলের সঙ্গে আমার আর কোনও সম্পর্ক নেই। এর পরে বহিষ্কার করল কি না, তাতে আর কিছু আসে যায় না।’’ রাজ্য কমিটির প্রাক্তন সাংসদের দাবি, ‘‘আমার যা সম্পত্তিই আছে, আইননিষ্ঠ নাগরিক হিসেবে তার প্রত্যেকটার নথিপত্র আছে। যে কেউ চাইলে সরকারি দফতরে খোঁজ করে দেখতে পারেন।’’ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতার জন্য দিল্লি হয়ে ভোপাল যাচ্ছেন মইনুল। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করলে তিন দফা জবাব তৈরি আছে মইনুলের তরফে।

Advertisement

তিনি কি তৃণমূলে যাচ্ছেন? মইনুলের বক্তব্য, ‘‘ভবিষ্যতে কী হবে, এখনও ঠিক নেই।’’ তৃণমূলের মুর্শিদাবাদের ভারপ্রাপ্ত নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীরও জবাব, ‘‘এখনও এই নিয়ে বলার সময় আসেনি। তবে ২১শে জুলাই মুর্শিদাবাদ ও মালদহ থেকে অনেকেই যোগ দিতে পারেন।’’ তৃণমূল সূত্রের খবর, শাসক দলে গেলেও মইনুল কিছু ‘মর্যাদা’ চান। আর তৃণমূল চাইছে ‘নিঃশর্ত’ যোগদান!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement