প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে শাসক ও বিরোধী, দুই শিবিরই। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির আরও দুই সদস্যের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। অন্য দিকে, প্রয়াত সোমেন মিত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় উপস্থিত শাসক দলের মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে করোনা সম্পর্কিত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
দু’দিনের অনলাইন বৈঠকে ভিড়িয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দিতে গত ২৫ ও ২৬ জুলাই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে দলের রাজ্য দফতরে হাজির ছিলেন এ রাজ্য থেকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যেরা। তার পরে শ্যামল চক্রবর্তী ও মহম্মদ সেলিমের করোনা ধরা পড়ে। শ্যামলবাবু প্রয়াত হয়েছেন বৃহস্পতিবার, সেলিম হাসপাতালে স্থিতিশীল। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আছেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনাদি সাহুও। এর প্রেক্ষিতে সেই দু’দিনের বৈঠকে উপস্থিত সব নেতা-নেত্রী ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্মী এবং গাড়ি চালকদের করোনা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। দফতরের কয়েক জন কর্মী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেত্রীর রিপোর্ট এ দিন পজ়িটিভ এসেছে। তবে তাঁদের উপসর্গ নেই, আপাতত বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকবেন তাঁরা। এরই পাশাপাশি সিপিএম নেতৃত্ব বলছেন, অহেতুক বাড়তি আতঙ্কে ভোগার যে কারণ নেই, এ দিন শ্যামলবাবুর বডিব্যাগে মালা দিয়ে সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সূর্যবাবু ও তাঁর নেতৃত্বে অন্য নেতা-কর্মীরা।
বিধানসভায় যে দিন সোমেনবাবুর দেহ আনা হয়েছিল, ওই দিন উপস্থিত তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন সকলকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতারাও বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, সোমেনবাবুকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের প্রায় সাত দিন পরে অসুস্থ হন তৃণমূলের ওই বিধায়ক। এই কারণে আগামী সোমবার পর্যন্ত বিধানসভার একাংশের অফিস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।