রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করল সিপিএম। শুক্রবার দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
কয়েক মাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্টকে কেন্দ্র করে ঋতব্রতর ব্যক্তিগত জীবনযাপন নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ব্যক্তিগত জীবনযাপন সংক্রান্ত কিছু অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্যদের আচার আচরণ খতিয়ে দেখার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিশন গড়েছে দলীয় নেতৃত্ব। এই কমিশনে রয়েছেন মহম্মদ সেলিম, মৃদুল দে ও মদন ঘোষ। এই কমিশন আগামী ২ অগস্ট ঋতব্রতর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে। আর আগে পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকছেন ঋতব্রত।
সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকের শেষ দিন শুক্রবার সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “সাংসদ ঋতব্রতর ব্যক্তিগত জীবনযাপন এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে কিছু অভিযোগ দলের কাছে এসেছে। কমিশন সে বিষয়ে তদন্ত করবে। তার আগে তিন মাস সাসপেন্ড থাকবেন ঋতব্রত।” তবে সাংসদ হিসেবে তাঁর কাজকর্মে কোনও বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন সূর্যকান্ত।
আরও পড়ুন: ভর্ৎসনা ঋতব্রতকে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সতর্কতা
কিন্তু অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে এবং রিপোর্টের অপেক্ষা না করে যে ভাবে তরুণ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল, নজিরবিহীন ভাবেই এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে। সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ি, নেপালদেব ভট্টাচার্য, তড়িত্ তোপদার, সায়নদীপ মিত্র, মধূজা সেন রায়-এর মতো জনা দশেক নেতা-নেত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্য নেতৃত্ব এ বিষয়ে কেন আরও ধীরেসুস্থে পদক্ষেপ করলেন না।