অজন্তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত সূর্যকান্ত মিশ্রর। নিজস্ব চিত্র।
অজন্তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। গত বুধবার তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তার ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক বিশেষ নিবন্ধের প্রথম কিস্তি প্রকাশিত হয়। তার পরেই রাজ্য সিপিএমের অন্দরে আলোড়ন পড়ে যায়। শনিবার অজন্তার লেখায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগান ছিল। তার আগেই অবশ্য অনিল-কন্যাকে শো-কজ করেছিল তাঁর দল। এবার সরাসরিসিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘বিষয়টা আমি শুনেছি। অজন্তা যা করেছে, তা কোনও ভাবেই ছোট করে দেখা যায় না। অজন্তা ইউনিটের সদস্য। যা পদক্ষেপ করার আগে ইউনিট নেবে। তারপর কলকাতা জেলা কমিটি রয়েছে। তারপর আমরা। ওকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ও যা করেছে, তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’ সূর্যকান্তর এমন বক্তব্য সামনে আসার পরেই মনে করা হচ্ছে, অজন্তার বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ করার দিকেই এগোচ্ছে সিপিএম।
শনিবার সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য কল্লোল মজুমদার বলেছিলেন, ‘‘আমার বিচারে সাধারণ ভাবে অত্যন্ত অসচেতন, অত্যন্ত খারাপ কাজ হিসেবে প্রতিভাত হওয়ার সুযোগ রয়েছে এই ঘটনায়। আমি অজন্তাকে পরামর্শ দিয়েছি, তোমার যা অবস্থান তা তুমি লিখিতভাবে পার্টিকে জানাও।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা ও বামপন্থী মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা তো দলীয় কর্মীর কাজ নয়। আমাদের দলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে, তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার পরেই তার বিচার করে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করা হয়। সেই পদক্ষেপ আমরা ইতিমধ্যে করেছি।’’
যদিও, অজন্তা নিয়ে সিপিএমের অবস্থান স্পষ্ট করার পরেই টুইট করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। রবিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘যাঁরা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসকে টেনে অজন্তাকে কুৎসিত ভাবে আক্রমণ করছেন, তাঁরা মনে রাখুন একাধিক সিপিএম ও বাম নেতা একাধিক কারণে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত অনুরোধও নেত্রী রক্ষা করেছেন। সেগুলি লেখা রুচি বিরুদ্ধ। কিন্তু বাধ্য করবেন না।’