CPM

গরিব মানুষের সমর্থনে ঘাটতি, চর্চা সিপিএমে

রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনার লক্ষ্যে বুধবার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে শুরু হয়েছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৪ ০৭:৫৩
Share:

সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। — নিজস্ব চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের কাটাছেঁড়ায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দুর্বলতার কথাই উঠে এল সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে। বৈঠকের প্রথম দিনের আলোচনার নির্যাস, বিজেপিকে কারা শেষ পর্যন্ত হারাতে পারবে, এই প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেসের উপরেই ভরসা করেছেন বেশিসংখ্যক মানুষ। বিজেপি-বিরোধিতার মূল কেন্দ্র তৃণমূল আর তৃণমূল-বিরোধিতায় ভরসা বিজেপি— এই দ্বিমেরু ভাষ্য খানিকটা ফিকে হলেও বিকল্প মতকে এখনও ‘বিশ্বাসযোগ্য’ করে তোলা যায়নি। গরিব মানুষের বড় অংশের সমর্থন না পাওয়ার কথা কবুল করার পাশাপাশিই আন্দোলন ও সংগঠনের দুর্বলতার প্রসঙ্গ তুলেছেন জেলার নেতারা।

Advertisement

রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনার লক্ষ্যে বুধবার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে শুরু হয়েছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক। উড়ানের দেরি হওয়ায় পরে দলের রাজ্য দফতরে এসে পৌঁছেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সূত্রের খবর, বৈঠকের প্রারম্ভিক ভাষণে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলে নিয়েছিলেন, যথাসাধ্য লড়াই করলেও রাজ্যে বামেদের ফল প্রত্যাশার কাছে পৌঁছতে পারেনি। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হতে দেরি হয়েছে, আইএসএফের সঙ্গে সমঝোতাও ভেস্তে গিয়েছে শেষ মুহূর্তে। আবার বামফ্রন্টের মধ্যেও আসন নিয়ে টানাপড়েন ছিল, সমন্বয়ের অভাব ছিল। এই প্রতিকূলতা সঙ্গে নিয়েও যা ফল হওয়ার আশা ছিল, তা হয়নি বলে সেলিমের মত। দলের কাছে খোলাখুলি আলোচনা চেয়েছেন তিনি।

সিপিএম সূত্রের খবর, পর্যালোচনা করতে গিয়ে একাধিক জেলার নেতারা বলেছেন, বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তৃণমূল ছিল না। তারা একা লড়েছে এবং প্রচার করেছে, বিজেপির বিরুদ্ধে তারাই প্রকৃত লড়াই করছে। এর পাল্টা প্রচার করেও বামেরা ভোটে সুবিধা করতে পারেনি। বিজেপিকে হারাতে পারবে তৃণমূল, এই ভাবনা থেকে অধিকাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে উপভোক্তা হিসেবেও অনেকে শাসক দলকে ভোট দিয়েছেন। তা ছাড়া, গরিব মানুষের বড় অংশের সমর্থনও বামেরা পায়নি। নিচু তলায় সংগঠন ও আন্দোলন গড়ে তোলার দুর্বলতার কথাও তুলেছেন রাজ্য কমিটির বেশ কিছু সদস্য। তাঁদের মতে, ভোটের আগে ময়দানে বা সমাজমাধ্যমে প্রচার ভাল হলেও ধারাবাহিক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ত্রুটি থেকেই যাচ্ছে। বারবার নির্বাচনী বিপর্যয় হলে কমিটি ধরে ধরে সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বের ‘দায়’ নেওয়ার দাবিও প্রকারান্তরে উত্থাপন করেছেন এক জেলা সম্পাদক। বৈঠকের শেষ দিনে আজ, বৃহস্পতিবার জবাবি বক্তৃতা করার কথা ইয়েচুরি ও সেলিমের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement