২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের আক্রমণের জবাব দিতে নেটমাধ্যমে কৌশলী পদক্ষেপ সিপিএম ডিজিটাল টিমের। —প্রতীকী ছবি
কলকাতায় ২১ জুলাই তৃণমূলের সমাবেশ। ১৯৯৩ সালে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন যুব কংগ্রেসকর্মীর মারা যাওয়ার ঘটনার স্মরণে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশকে আক্রমণ করতে এ বার নেটমাধ্যমে কোমর বাঁধল সিপিএম। প্রচার কৌশলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সত্য ঘটনা অবলম্বনে’।
আটটি পৃথক বিষয় উল্লেখ করে নেটমাধ্যমে সিপিএমের এই প্রচারে তৃণমূলের অভিযোগ খণ্ডন করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, ওই দিনের ঘটনায় তিনটি বাস-সহ ৩৫টি গাড়ি পুড়েছিল। সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, প্রয়াত ১৩ জন যুব কংগ্রেসকর্মীর মৃত্যু হয়েছিল সিরোসিস অব লিভারের কারণে।
তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব তথা তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ মণীশ গুপ্তের রিপোর্টের কথাও উল্লেখ তুলে ধরেছে সিপিএম। বলা হয়েছে, মণীশের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, জড়ো হওয়া নেশাগ্রস্থ ও সশস্ত্র দুস্কৃতীদের পাইপগান ও বোমায় আহত হয় ৩৪ জন পুলিশকর্মী। ২১৫ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। সেই সময় এই ঘটনায় প্রয়াত কংগ্রেস নেতা বরকত গনিখান চৌধুরীও যে মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবাবুকে সমর্থন দিয়েছিলেন, তারও উল্লেখ থাকছে।
সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে একটি হ্যাশট্যাগ। ‘টোয়েন্টি ফার্স্ট জুলাই গ্রেট লাই’ নামে হ্যাশট্যাগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের ডিজিটাল টিম বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতৃত্বের যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে জবাব দেবেন বলে ঠিক হয়েছে।