State news

নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার! পুলিশের লাঠিতে জখম বিমান, সূর্য-সহ অনেকে

নবান্ন অভিযানকে ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা। গন্ডগোলের রেষ ছড়িয়ে পড়ল হাওয়াতেও। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হলেন একাধিক বাম নেতা-সহ আন্দোলনকারীরা। পুলিশের মার থেকে রেহাই পেলেন না সাংবাদিকেরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ২০:৩০
Share:

ডাফরিন রোডে মহিলা বাম কর্মীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি পুলিশের।

নবান্ন অভিযানকে ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতা। গন্ডগোলের রেষ ছড়িয়ে পড়ল হাওয়াতেও। পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত হলেন একাধিক বাম নেতা-সহ আন্দোলনকারীরা। পুলিশের মার থেকে রেহাই পেলেন না সাংবাদিকেরাও। আন্দোলনকারীদের পাল্টা ইটের ঘায়ে জখম হলেন কয়েকজন পুলিশকর্মীও। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছে বামেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: রজনীকান্ত বিজেপিতে স্বাগত: অমিত শাহের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে

১৮ দফা দাবিতে কলকাতা, হাও়়ড়ার পাঁচটি জায়গা থেকে সোমবার মিছিল শুরু করার কথা ছিল বামেদের। কিন্তু তার আগেই পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সিপিএমের ২৪ কর্মী পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পৌঁছে যান নবান্নর উত্তর গেটে। সেখান থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে নিয়ে যান শিবপুর থানায়। এই ঘটনার পরেই জমায়েতের সবকটি কেন্দ্রে পুলিশি বন্দোবস্ত আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রেফতার হওয়া বিধায়ক এবং কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। এর পর সূর্যকান্তবাবুর নেতৃত্বে একটি মিছিল মেয়ো রোডের কাছে পৌঁছে হঠাৎই দু’ভাগ হয়ে যায়। একটি চলে যায় ডাফরিন রোডের দিকে। অন্যটি যায় জওহরলাল নেহরু রোডের দিকে। ডাফরিন রোডে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে।

Advertisement


পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে সুজন চক্রবর্তী সহ বাম কর্মীদের।

আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। প্রবল ধোঁয়া এবং চোখে-মুখে জ্বালা নিয়ে মিছিল পিছু হঠতে শুরু করে। আন্দোলনকারীদের তাড়া করে পুলিশ। একটি পরেই আন্দোলনকারীরা ইট নিয়ে পাল্টা তাড়া করে পুলিশকে। তাঁদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে পুলিশ। প্রেস ক্লাবের সামনে গাঁধী মূর্তি চত্বরে তখন রণক্ষেত্র। পুলিশের মার থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিক, দোকানদার এমনকী সাধারণ মানুষও। ইতিমধ্যেই কোনা এক্সপ্রেসওয়েতেও শুরু হয়ে যায় পুলিশ বনাম আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ছাড়াও সেখানে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তাতে আহত হন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক লাহিড়ী সহ কিছু বাম নেতা। আহত হন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমও।

দেখুন ভিডিও:

পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে গাঁধী মূর্তির নীচে অবস্থানে বসে পড়েন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। সেখানেও লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করে আরপিএফ। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। তাঁদের সামনেই ফের একপ্রস্থ লাঠিচার্জ হয়। হামলার খবর পেয়ে বিধানসভা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছন আব্দুল মান্নান, মনোজ চক্রবর্তীরাও। পুলিশের লাঠির ঘায়ে জখম হন তাঁরাও। প্রবীন কৃষক নেতা মদন ঘোষ রাস্তায় পড়ে যান। মোবাইল খোয়া যায়, চশমা ভেঙে যায় তাঁর। পরে বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন দেখে অবস্থান তুলে নেন সূর্যবাবুরা।

সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘যতই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিক, পুলিশ যতই আমাদের উপর হামলা করুক। আমাদের লড়াই চলবে।’’ পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘অস্তিত্ব হারিয়ে যাচ্ছে। বামেরা তাই রাস্তায় নেমে নাটক করছে।’’

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement