সিপিএমের আজ ‘জেল ভরো’, পাশে স্বামীনাথনও

মূলত কৃষক সভা ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের উদ্যোগে সব জেলা সদরে আইন অমান্য হবে। রাজ্য জ়ুড়ে যে স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে, দাবিপত্রের সঙ্গে তা জমা দেওয়া হবে জেলা সদরে। কলকাতায় সিটু কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তা। সিটুর রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনাদি সাহু জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার সামনে আজ দুপুরে জমায়েত হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

ফসলের ন্যায্য দাম, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এবং পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর দাবিতে দেশ জু়ড়ে আজ, বৃহস্পতিবার ‘জেল ভরো’ কর্মসূচিতে নামছে সিপিএমের কৃষক ও শ্রমিক সংগঠন। রাজ্যের সব জেলাতেই আজ কৃষক সভা ও সিটুর ডাকে আইন অমান্য হবে। বিক্ষোভ হবে কলকাতাতেও। তার জন্য প্রস্তুত থাকছে পুলিশও।

Advertisement

মূলত কৃষক সভা ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের উদ্যোগে সব জেলা সদরে আইন অমান্য হবে। রাজ্য জ়ুড়ে যে স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে, দাবিপত্রের সঙ্গে তা জমা দেওয়া হবে জেলা সদরে। কলকাতায় সিটু কর্মসূচির মূল উদ্যোক্তা। সিটুর রাজ্য সম্পাদক তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনাদি সাহু জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার সামনে আজ দুপুরে জমায়েত হবে। তার পরে মিছিল যাবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে আইন অমান্যের জন্য। যেমন ‘পরিস্থিতি’ হবে, সেইমতো তাঁরাও সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন সিপিএম নেতারা। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, ‘‘কত পুলিশ আর কত জেল আছে, দেখা যাবে!’’ রাজ্য জু়ড়ে আইন অমান্যে বিরাট সংখ্যায় কর্মী-সমর্থকদের সামিল করে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছেন তাঁরা।

কৃষক সভা ও সিটুর আয়োজনেই আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সংসদ মার্গে জমায়েত হবে। মহারাষ্ট্রে হয়েছিল কিষাণ ‘লং মার্চ’। দিল্লিতে এ বার সারা দেশের কৃষক-শ্রমিকদের মিছিল করিয়ে মোদী সরকারের উপরে চাপ বাড়াতে চায় সিপিএম। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি উড়িয়ে কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন বুধবার বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, জাতীয় কৃষি কমিশনের প্রধান তিন দফা সুপারিশ বাস্তবায়িত করা উচিত। আর কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বিক্ষোভকারীদের দাবি শোনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement