বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
দুই সমাবেশের ব্যবধান দু’সপ্তাহের। সারা দেশের বিরোধী নেতৃত্বকে হাজির করে ব্রিগেডে সভা করেছিল তৃণমূল। সেই ময়দানেই কাল, রবিবার সমাবেশের চেহারায় শাসক দলের সঙ্গে ফারাক দেখাতে চাইছে সিপিএম। ওই সমাবেশে আসার জন্য বাম কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও।
বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধিতার ডাক দিয়েই কাল বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশ। তার জন্য শুক্রবার রাত থেকেই দূরবর্তী জেলার মানুষ শহরে এসে পৌঁছতে শুরু করেছেন। ব্রিগেড ময়দান চত্বরেই তাঁবু খাটিয়ে তাঁদের বেশির ভাগের থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বলেছেন, ‘‘বাম কর্মী-সমর্থকেরা ব্রিগেডের জন্য সর্বাত্মক প্রচারে নেমেছিলেন। মানুষ অভাবনীয় সাড়া দিয়েছেন। তাঁরা দেওয়াল লিখেছেন, হাতে পোস্টার লিখেছেন, মজুরির সামান্য টাকায় গাড়িও ভাড়া করেছেন।’’ সূর্যবাবুর আরও সংযোজন, ‘‘কয়েক দিন আগের ব্রিগেডে অনেক নেতা ছিলেন, কয়েক জনে বড় বড় কাট-আউট ছিল সর্বত্র। কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সরকার ও প্রশাসনকে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সমাবেশের সঙ্গে মৌলিক পার্থক্য, এটা মানুষের ব্রিগেড।’’ রাজ্যের নানা জায়গায় হুমকি, বাধা ও প্ররোচনা উপেক্ষা করেই মানুষ কাল ব্রিগেডে আসবেন বলে সূর্যবাবুর দাবি।
সমাবেশের আগে তাঁর বুদ্ধবাবু বার্তা দিয়েছেন, বিজেপির হাতে দেশ বিপন্ন। তৃণমূল জমানায় রাজ্যও ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। এই অবস্থা পরিবর্তনের লড়াইয়ে শক্তি জোগাবে এ বারের ব্রিগেড। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের প্রকৃত বিকল্প বামপন্থীরা। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী বিজেপি নয়। হিন্দুত্বের আড়ালে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিকল্পনা বামপন্থীরাই রুখতে পারে।’’ সমাবেশে উপস্থিত জনতার জন্যও সম্ভবত থাকবে বুদ্ধবাবুর বার্তা। চেষ্টা হচ্ছে তাঁর বক্তব্য অডিয়ো রেকর্ড করে ব্রিগেডে শোনানোর।