CPM

সঙ্কটে জমি তৈরির চেষ্টায় শ্রমজীবী ক্যান্টিন

যাদবপুরের নবনগরে রবিবার ওই ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৫:০৫
Share:

যাদবপুরে শ্রমজীবী ক্যান্টিনের সূচনায় সূর্য্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, বিকাশ ভট্টাচার্য প্রমুখ।—নিজস্ব চিত্র।

কমিউনিটি কিচেন, সব্জির বাজার, বাড়ি বাড়ি খাবার ও কাঁচা বাজার পৌঁছে দেওয়ার অজস্র রকম উদ্যোগ চালু রয়েছে লকডাউন ইস্তক। এ বার সুলভে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য যাদবপুরে চালু হল শ্রমজীবী ক্যান্টিন। সমাজকর্মী জ্যোতিদেবীর নামাঙ্কিত অছি পরিষদ গড়ে ওই ক্যান্টিন চালানোর পরিকল্পনা হলেও নেপথ্যে মূল ভূমিকা সিপিএমের। এ রাজ্যে তাদের এমন উদ্যোগ এই প্রথম।

Advertisement

যাদবপুরের নবনগরে রবিবার ওই ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী ও সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার। করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন এবং তার পরে ঘূর্ণিঝড় ‘আমপান’-এর ঘটানো বিপর্যয়ের মধ্যে সব গণসংগঠনকেই নামিয়ে বিপন্ন মানুষের জন্য ত্রাণ ও সহায়তার কাজ করছে সিপিএম। বিরোধী দল হিসেবে শুধু সরকারের সমালোচনাই নয়, তাদের ‘ইতিবাচক’ কাজ যে ভবিষ্যতের পুঁজি হতে পারে, তা জেনেই যাবতীয় উদ্যোগ।

শ্রমজীবী ক্যান্টিনে ২০ টাকায় মিল পাওয়া যাবে এবং তা চালানো হবে সারা বছর। আরও নানা জায়গায় এমন ক্যান্টিন খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে সিপিএম সূত্রের খবর। উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে সূর্যবাবু এ দিন বলেন, ‘‘করোনা, লকডাউন এবং দুর্যোগের জেরে সাধারণ মানুষ যে বিপন্ন অবস্থায় পড়েছেন, সাম্প্রতিক কালে তা কখনও হয়নি। দাতা-গ্রহীতা নয়, এই সময়ে সহমর্মিতার মনোভাব নিয়ে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।’’ ছাত্র, যুব, মহিলা, কৃষক ও শ্রমিক— সব ফ্রন্ট থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা জারি আছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। বাম পরিষদীয় নেতা সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শুধু সরকারই ত্রাণ দেবে। কারও ত্রাণের প্রয়োজন না হলেই সব চেয়ে ভাল হত! সরকার সকলকে পর্যাপ্ত ত্রাণ দিতে পারলেও কিছু বলার নেই। কিন্তু মানুষ যেখানে বিপন্ন, সেখানে আমাদের কাজ আমাদের করতেই হবে।’’ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বলছেন, ‘‘মানুষকে বাঁচানোই এখন প্রথম কাজ। সরকার সেটাই করছে। বিরোধীরা রাজনৈতিক অঙ্ক করতে ব্যস্ত।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement