একুশেও সমঝোতা, ভোট বার্তা সূর্যের

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, ‘‘আমি শূন্য হয়ে যেতে পারি। আমার একটা সাংসদও না থাকতে পারে। আমি সাড়ে সাত শতাংশে নেমে আসতে পারি। কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে, সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২৫
Share:

মেদিনীপুরে দলের শতবর্ষের সভায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক। নিজস্ব চিত্র

শুধু রাজ্যের আসন্ন তিন বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনই নয়। আগামী পুরসভা নির্বাচন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে লড়বে বামেরা। স্পষ্ট করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর ঘোষণা, তৃণমূল বিরোধী, বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করতে হবে বাংলায়, এটাই বামেদের কৌশল।

Advertisement

রবিবার মেদিনীপুরে দলের এক সভায় সূর্যকান্ত বলেন, ‘‘তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, কয়েকটি উপ- নির্বাচন হল। মোদী খাবি খেতে আরম্ভ করেছেন। তৃণমূল, বিজেপি একে অপরের দোসর। বিজেপিকে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বেন বা তৃণমূলকে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বেন, এর চেয়ে ভুল আর কিছু হতে পারে না।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, ‘‘আমি শূন্য হয়ে যেতে পারি। আমার একটা সাংসদও না থাকতে পারে। আমি সাড়ে সাত শতাংশে নেমে আসতে পারি। কিন্তু আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে, সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই।’’ সূর্যকান্তের সংযোজন, ‘‘তৃণমূল, বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করতে হবে এখানে, আমাদের এই কৌশলটাই ঠিক।’’

বারবার কৌশলের কথা শুনিয়েছেন সূর্যকান্ত। দাবি করেছেন, কৌশলে ভুল নেই। তবে লোকসভায় সে কৌশল প্রয়োগে যে ভুল ছিল, তা মেনেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের ফ্রন্ট নেই। কিন্তু তৃণমূল, বিজেপিকে হারাতে একসঙ্গে লড়াই রয়েছে। লোকসভায় হয়নি মানে আমাদের লাইন ভুল হয়ে যায়নি।’’

Advertisement

কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার একশো বছর পালন এবং সুকুমার সেনগুপ্ত স্মারক বক্তৃতা, এই দুই কর্মসূচিকে সামনে রেখে এ দিন মেদিনীপুরে সিপিএমের এই সভা হয়েছে। প্রধান বক্তা ছিলেন সূর্যকান্তই। আগামী পুরসভা নির্বাচন ও তারপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কি কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হবে? সভা শেষে প্রশ্নের উত্তরে সূর্যকান্তের জবাব, ‘‘আমাদের কৌশল অপরিবর্তিত থাকবে।’’ পুলিশকে সামনে রেখেও তৃণমূল বাঁচতে পারবে না বলে দাবি করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর কথায়, ‘‘একজন সিভিক পুলিশ খুন হয়ে গেল। তৃণমূল তৃণমূলকে মারছে। পুলিশ খুন হচ্ছে। আমি তো আর বলতে পারি না, পুলিশ বিদ্রোহ করুক। সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে এটা হয় না। কিন্তু পুলিশ একে (তৃণমূলকে) বাঁচাতে পারবে না। পুলিশ তৃণমূলকেই তৃণমূলের হাত থেকে বাঁচাতে পারছে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement