প্রতীকী ছবি।
মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় পাঁচ দিন। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৫০ শতাংশ। ‘প্রক্রিয়াগত’ এই জোড়া ‘কাঁটা’ এ বার তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে ৩১ মার্চ। ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র তোলা। ১ মে প্রথম দফায় পশ্চিম বর্ধমানে পঞ্চায়েত ভোট। জেলায় মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ৮৩৩টি। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে আসন সংখ্যা যথাক্রমে ১৬১টি ও ১৭টি। নিয়ম অনুসারে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে রয়েছে আবার জাতিগত সংরক্ষণের বিষয়টিও। বিরোধী দলগুলির নেতাদের একাংশের মতে, সব শর্ত মেনে জেলা পরিষদে প্রার্থী দিতে হয়তো সমস্যা হবে না। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতি, বিশেষত পঞ্চায়েতের সব আসনে প্রার্থী দেওয়া আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
তা ছাড়া ৫০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী জোগাড় করতেও বেগ পেতে হচ্ছে বলে সিপিএম সূত্রে খবর। পঙ্কজবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘বিরোধীদের তো মনোনয়নই তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মহিলা প্রার্থীরা তৈরি আছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছি আমরা।’’
এই ‘আবহে’ সমস্যা বাড়িয়েছে ওই পাঁচ দিনের সময়সীমা। বিরোধী নেতাদের মতে, লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে এই সময় থাকে মোটে দু-তিন দিন। ফলে এই পাঁচ দিন ধরে যে সব বিরোধী প্রার্থী মনোনয়ন তুলবেন, তাঁদের ‘রক্ষা’ করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিরোধী নেতারা। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘গত দু’দশকে এত দিন মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় ছিল না। এ বার পরিকল্পনা করেই এত দিন রাখা হয়েছে। যাতে এই সময়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে বিরোধীদের উপরে চাপ তৈরি করা যায়।’’ একই অভিযোগ বিজেপি-র এক জেলা নেতারাও। তাঁরা জানান, গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে এই সময় ছিল দু’দিন।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। জেলায় আমাদের দ্বারা বিরোধীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই।’’