মমতার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ! দোটানায় সিপিএম

রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলগুলির শীর্ষনেতারা চাষিদের সঙ্কট নিয়ে দিল্লিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জনসভা করার পরিকল্পনা করছেন। অথচ পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে মমতারই সরকারের বিরুদ্ধে সরব সিপিএম। সেই যুক্তিতে দিল্লিতে বিরোধীদের মঞ্চ থেকে দূরত্ব রাখতে গেলে আবার দলছুট হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭ ০৫:০৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত

মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রসঙ্গে ইদানিং কংগ্রেস-তৃণমূল-সিপিএমকে এককাট্টা হতে দেখা যাচ্ছে। তাই বলে জনসভায় তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে এক মঞ্চে হাজির থাকা! কী ভাবে তা সম্ভব, সেই কথা ভেবেই কপালে ভাঁজ সিপিএম নেতাদের।

Advertisement

রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলগুলির শীর্ষনেতারা চাষিদের সঙ্কট নিয়ে দিল্লিতে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে জনসভা করার পরিকল্পনা করছেন। অথচ পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে মমতারই সরকারের বিরুদ্ধে সরব সিপিএম। সেই যুক্তিতে দিল্লিতে বিরোধীদের মঞ্চ থেকে দূরত্ব রাখতে গেলে আবার দলছুট হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে দোটানায় পড়েছেন সিপিএমের শীর্ষনেতারা। তাঁদের বক্তব্য, এখনও কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে জনসভায় যোগ দেওয়ার কোনও প্রস্তাব তাঁদের কাছে আসেনি। কী ধরনের প্রস্তাব আসছে, জনসভার আয়োজন কী রকম হবে— সব কিছু দেখে সিদ্ধান্ত হবে।

অগস্ট মাসের এই জনসভা নিয়ে মমতা ছাড়া নীতীশ কুমারের সঙ্গেও কথা হয়েছে রাহুল গাঁধীর। নীতীশও রাহুলকে বলেছেন, দিল্লিতে এই রকম একটি জনসভা করা দরকার। কারণ, কৃষকদের সমস্যা গোটা দেশের সমস্যা। প্রাথমিক আলোচনা অনুযায়ী, ১০ অগস্ট দিল্লির রামলীলা ময়দানে ওই জনসভা হতে পারে। বিরোধী শিবিরের নেতাদের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির সব মুখ্যমন্ত্রীকেও তাতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। মমতার পাশাপাশি নীতীশও সেই জনসভায় থাকবেন বলে আশা করছেন কংগ্রেস নেতারা।

Advertisement

আরও পড়ুন:সাড়ে ১৭ কোটিতে বিকিয়ে গেল ন্যানোর স্বপ্ন

সিপিএমের নেতাদের সমস্যা হলো, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, রাজস্থানে কৃষকদের প্রতিটি সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে দলের কৃষক সভা পুরোভাগে ছিল। হান্নান মোল্লার নেতৃত্বে কৃষক সভা যে ভাবে শ’খানেক সংগঠনকে নিয়ে ‘ভূমি অধিকার আন্দোলন’ গড়ে
তুলেছে, তা পলিটব্যুরোর রিপোর্টে প্রশংসিত হয়েছে। গত সপ্তাহেই বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌর থেকে কৃষকরা এসে যন্তর মন্তরে জনসভা করেছেন। এর পরে দক্ষিণ ভারত, পূর্ব ভারত, উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে একই ধরনের জনসভা হবে। নভেম্বরে সর্বভারতীয় স্তরে দিল্লিতে জনসভা করার সিদ্ধান্তও পাকা। নিচু তলা থেকে কৃষকদের সংগঠিত করার পরে সেই আন্দোলনের রাজনৈতিক ফায়দা অন্য কেউ চলে যাবেন কি না, তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে সিপিএমকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement