সিবিআই ইস্যুতে কংগ্রেস-সিপিএম এক সুর।
নরেন্দ্র মোদী জমানায় সিবিআইয়ের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হচ্ছে। প্রশ্রয় পাচ্ছে দুর্নীতি। এই অভিযোগকে সামনে রেখে কলকাতায় সিবিআইয়ের আ়়ঞ্চলিক দফতরের কাছে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চলেছে সিপিএম। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় এবং প্রদেশ নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই সিবিআই-প্রশ্নে বিক্ষোভের রাস্তায় গিয়েছেন। কংগ্রেসের তুলে ধরা রাফাল-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও শুক্রবার থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছে বাম সংগঠনগুলি। আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি যা বলছে, বাংলায় লোকসভা ভোটের আগে নানা কর্মসূচি ঘিরে কংগ্রেস ও সিপিএম আরও বেশি কাছাকাছি আসছে।
সিবিআই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যক্কারজনক’ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দিয়ে আগামী সোমবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। ওই কর্মসূচিতে থাকার কথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং গৌতম দেব-সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের। নিজাম প্যালেস চত্বরে সিবিআইয়ের দফতরের বাইরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ জমায়েতে হাজির ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র-সহ দলীয় নেতারা। কংগ্রেস এই প্রশ্নে দ্বিতীয় দফার বিক্ষোভ-সভা করবে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরের সামনেই। সিপিএম সমাবেশ করার পর দিন, মঙ্গলবার সেখানে জমায়েত করার কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘বিজেপির যাবতীয় দুর্নীতি এবং রাফাল কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে সিবিআইকে বলি দেওয়া হচ্ছে! ফ্যাসিবাদী একটা সরকারের হাতে সব প্রতিষ্ঠান বিপন্ন।’’ আবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলছেন, ‘‘আগে সিবিআইকে ‘কংগ্রেস ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন’ বলত বিজেপি। সেই সময়ে কিছু অভিযোগ উঠলেও একটাও প্রমাণিত হয়নি। বরং, ইউপিএ জমানার মন্ত্রীরাও সিবিআইয়ের হাত থেকে ছাড় পাননি। আর এখন গোটা সিবিআইকে নিয়ে কী হচ্ছে, সকলে দেখতে পাচ্ছেন!’’
এ রাজ্যের সারদা, নারদ মামলার তদন্ত ভার রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। যে মামলায় শাসক দল তৃণমূল কাঠগ়ড়ায়। তাই বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণের প্রতিবাদের পাশাপাশিই সারদা, নারদ-কাণ্ডে চাপ বাড়ানোও দুই বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেসের অন্যতম উদ্দেশ্য। রাফাল-চুক্তিতে যে ভাবে সরকারি সংস্থা হ্যালকে বঞ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতির সংস্থাকে যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়ে এ দিন থেকে রাজ্য জুড়ে পথে নেমেছে কৃষক সভার নেতৃত্বে বেশ কিছু বাম সংগঠন।