সিপিএম-এর রাজ্য কমিটির অনলাইন সভা।—নিজস্ব চিত্র।
বছরখানেকের মধ্যে বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বিরোধীদের জবাব দিতে দলকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। তৃণমূল, বিজেপির মতো এ বার সিপিএমও ডাক দিল নির্বাচনী প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে ময়দানে নেমে পড়ার।
দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে বৃহস্পতিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বুঝিয়ে দিয়েছেন, পরিস্থিতির নিরিখে সামাজিক মাধ্যমে ‘ভার্চুয়াল’ সক্রিয় থাকার পাশাপাশিই মাঠে-ময়দানে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। করোনা, লকডাউন এবং ‘আমপান’ পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্যের নানা প্রান্তেই সব গণসংগঠনের উদ্যোগে ত্রাণ, কমিউনিটি কিচেন, সব্জি বাজার বা শ্রমজীবী ক্যান্টিন খোলা-সহ বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম চালিয়েছে সিপিএম। মানুষের মধ্যে সেই কাজের রেশ থাকতে থাকতেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করার বার্তা দিয়েছেন সূর্যবাবুরা।
লকডাউন এবং করোনার কারণে শারীরিক দূরত্বের বিধি এখনও বহাল। সেই নীতি মেনেই ধীরে ধীরে কর্মসূচি বাড়ানোর কথা হয়েছে রাজ্য কমিটির বৈঠকে। দলের পলিটব্যুরোর মতো এ বারের রাজ্য কমিটির বৈঠকও ছিল অনলাইন। ভিডিয়ো কনফারেন্সেই যোগ দিয়েছিলেন ৭৬ জন সদস্য। ঠিক হয়েছে, লকডাউন পরবর্তী সময়ে প্রথম প্রকাশ্য সমাবেশ হতে চলেছে আগামী ১৬ জুন, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া নিয়ে সে দিন দেশ জুড়ে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পলিটব্যুরো। অল্প কিছু লোকজন নিয়ে রানি রাসমণির সমাবেশে ‘ভার্চুয়াল ভাষণ’ও থাকতে পারে।
দলীয় সূত্রের খবর, বর্ষীয়ান নেতা শ্যামল চক্রবর্তী এ দিনের বৈঠকে প্র্স্তাব দিয়েছেন বিধানসভা কেন্দ্র পিছু সম্ভাব্য মুখ বেছে নিয়ে এখন থেকেই তাঁদের ময়দানে নামিয়ে দেওয়া হোক। দেরি করলে সরকার-বিরোধিতার ফায়দা সব বিজেপি তুলে নিতে পারে। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন-রফার আলোচনা এখনই শুরু করার কথাও এসেছে। অন্য এক বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আবার ক্ষোভের সুরে বলেছেন, করোনা, পরিযায়ী শ্রমিক ও দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকারের নানা ‘ত্রুটি’ খাকা সত্ত্বেও দল পর্যাপ্ত আগ্রাসন দেখিয়ে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারছে না।