সদ্য রবিবার বিজেপির নেতারা সন্দেশখালি থেকে এক লক্ষ ভোটের ‘লিড’ চেয়েছেন সেখানকার মানুষের কাছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সভা করতে এসে যেন তার ‘জবাব’ শোনা গেল সিপিএম নেতৃত্বের মুখে। তৃণমূল ও বিজেপি, দুই দলকেই বর্জনের ডাক দিয়ে তাঁরা স্লোগান দিলেন, ‘চোর তাড়িয়ে ডাকাত আনবেন না’।
২০১৭ সাল থেকে বামপন্থীরা সন্দেশখালি বিধানসভা এলাকায় বড় কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারেনি। বহু বছর পরে সিপিএম বড় সভা করল সন্দেশখালিতে। সন্দেশখালি থানার পাশে একটি মাঠে সভা হয়। হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ ও সন্দেশখালি বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার দুই কর্মী-সমর্থক ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, দেবলীনা হেমব্রম, নিরাপদ সর্দার-সহ বেশ কয়েক জন নেতানেত্রী।
সোমবারের সভা থেকেই বিজেপি ও তৃণমূলকে বর্জনের ডাক দিয়ে বর্ষীয়ান নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম স্লোগান দিলেন, ‘চোর তাড়িয়ে ডাকাত আনবেন না।’ সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার দাবি করেন, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে গোপন বোঝাপড়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বিজেপির সঙ্গে চক্রান্ত করেই বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার করেছিলেন মমতা। যাতে বিজেপির উপরে আক্রমণ হয়েছে— এই হাওয়া তুলে ওঁদের নেতারা লাল ঝান্ডার এই ঘাঁটিতে এসে বামেদের দুর্বল করতে পারেন।”
সিপিএমের সভাতেও মহিলাদের উপস্থিতি ছিল বেশি। নিরাপদ সভায় উপস্থিত মহিলাদের বলেন, “যে ঝাঁটা ধরেছেন, সেই ঝাঁটা ছাড়বেন না। তৃণমূল ও বিজেপিকে দেশ ও রাজ্য থেকে না সরাতে হবে আপনাদের।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও দাবি করেন, “তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় পাঁচ জন বিজেপি নেতা আছে। আপনারা ভাববেন না বিজেপি তৃণমূলকে তাড়াবে।”
সিপিএমের সভার ভিড় নিয়ে কটাক্ষ করে স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর দাবি, “সিপিএম সন্দেশখালিতে জনসমর্থন হারিয়েছে বহু আগে। সেটা বোঝা গেল। মানুষ তৃণমূলেরই সঙ্গে আছে।” বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুকল্যাণ বৈদ্য বলেন, “বামেরা বুঝেছে, সন্দেশখালির মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছে। তাই ওঁদের সভায় লোক হল না।”