প্রয়াত বাবলু বসু। —নিজস্ব চিত্র।
বামেদের নবান্ন অভিযানে ছিলেন তিনিও। ১৮ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে পা মিলিয়ে ছিলেন অন্যদের সঙ্গে। বাধা টপকে যেতে গিয়ে পুলিশের লাঠির ঘা-ও খেতে হয়েছিল ৬০ বছরের বাবলু বসুকে। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয় সলীল বসু ওরফে বাবলু বসুর। সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। এর পরই তাঁর পরিবার এবং সিপিএমের তরফে অভিযোগ আনা হয় যে, পুলিশের লাঠির আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
বাবলু বসুর পরিবারের অভিযোগ, গত সোমবার নবান্ন অভিযানের দিন তাঁর মাথায় পুলিশের লাঠি লাগে। মাথার চোট যে এতটা গুরুতর ছিল তা ওই দিন তিনি বুঝতে পারেননি। পরদিন অর্থাৎ ২৩ মে বামেদের প্রতিবাদ মিছিলেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। পরিবারের দাবি, মিছিল চলাকালীনই অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। চোখেমুখে জলের ঝাপটা দিয়েও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। এর পর তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতদিন সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বাবলুবাবু। এ দিন সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানান, কোনও কারণে গুরুতর আঘাত থেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে তাঁর। তা থেকেই এই সেরিব্রাল স্ট্রোক।
আরও পড়ুন: বামেদের নবান্ন অভিযানে রণক্ষেত্র রাজপথ, লাঠি-ইটে জখম বহু
তবে নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে নাকি মস্তিষ্কে আগে থেকেই কোনও চোট ছিল তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই পরিষ্কার হবে।
দলীয় সূত্রে খবর, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর দেহ প্রথমে নাগেরবাজারে সিপিআই (এম) দমদম জোনাল কমিটির অফিসে আনা হবে। পরে সেখান থেকে আলিমুদ্দিনে নিয়ে যাওয়া হবে বাবলুবাবুর দেহ।