CPM

জনতার বার্তা দিয়েই জনতাকে ব্রিগেড-আর্জি

সমাবেশের জন্য বুধবার ব্রিগেড ময়দান পরিদর্শনে গিয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব ‘জনতার ব্রিগেডে’র কথাই বলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:০৪
Share:

ব্রিগেড পরিদর্শনে বিমান বসু, রবীন দেব এবং তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা।—নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের স্লোগান ছিল, ‘ডাক দিয়েছে মমতা, ব্রিগেড চলো জনতা’। তাদের ব্রিগেডে সরাসরি জনতার ডাককেই কাজে লাগাতে চাইছে সিপিএম। ব্রিগেড সমাবেশ ‘সফল’ করার জন্য নানা এলাকায় সিপিএম নেতাদের সভা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু আম জনতার কাছে পৌঁছনোর জন্য রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে পাঠানো বাম কর্মী-সমর্থকদের ছড়া, কার্টুন, পোস্টার এবং আম আদমির ভিডিয়ো বার্তার উপরেই ভরসা করছে তারা।

Advertisement

কেন ব্রিগেড সমাবেশ হচ্ছে, নিজেদের মতো করে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সমাজের নানা অংশের মানুষ। তাঁদের বেশির ভাগই কৃষক এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধি। তাঁদের ওই বার্তাই ভিডিয়ো ক্লিপিং করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে সিপিএম। সেই সঙ্গে এ বারই প্রথম এমন প্রচারে ব্যবহার হচ্ছে কার্টুন। যার রাজনৈতিক বক্তব্য বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অপরিচিত, সাধারণ মুখের বার্তাকে সামনে রেখেই সিপিএম নেতা-কর্মীরা সর্বত্র আবেদন করছেন সবান্ধব ব্রিগেডে যাওয়ার।

সমাবেশের জন্য বুধবার ব্রিগেড ময়দান পরিদর্শনে গিয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব ‘জনতার ব্রিগেডে’র কথাই বলেছেন। বিমানবাবুর অভিযোগ, মাঠ পেতে দেরি হয়েছে, তার উপরে সেখানে অজস্র গর্ত বোজাতে হবে! তিনি জানিয়েছেন, রবিবারের ব্রিগেডের আগের দিনই দূরের জেলা থেকে অনেক মানুষ শহরে পৌঁছে যাবেন। ব্রিগেডের ময়দানের এক প্রান্তেই তাঁবু খাটিয়ে তাঁদের রাতে থাকার ব্যবস্থা হবে। অন্যত্র রাখার টাকা বা সুযোগ কোনওটাই এখন বামেদের নেই। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও কলকাতায় গণসংগ্রহ করে যে টাকা এবং আনাজপত্র পাওয়া গিয়েছে, তা দিয়েই সমর্থকদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হবে।

Advertisement

সুন্দরবনে ব্রিগেডের প্রচার।—নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: মেট্রোয় ফের আগুন আতঙ্ক, দমদম স্টেশনে ধোঁয়ায় ভরে গেল নন এসি কামরা​

আরও পড়ুন: বোল্ট-বিদ্যুতে ঝলসে ৯২ রানে শেষ ভারত, ৮ উইকেটে জিতল কিউয়িরা​

কাঁথিতে অমিত শাহের সভার পরে বিজেপি ও তৃণমূলের যে ভাবে সংঘর্ষ হয়েছে, তার পরে ব্রিগেডের জন্য গাড়ি-বাস পেতে সমস্যা হবে বলে বামেদের আশঙ্কা। বিমানবাবু অবশ্য দু’দলকেই বিঁধে এ দিন বলেছেন, ‘‘বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরকে প্রচার পাইয়ে দিতে চাইছে! তবে এমন ঘটনায় আবার স্পষ্ট, রাজ্যে গণতন্ত্র ও আইনশৃঙ্খলার হাল করুণ।’’

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement