প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরায় হারার পর সিপিএমের হয়ে ধারাবাহিক ভাবে ব্যাট ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সুযোগে সিপিএম-তৃণমূল মাখামাখির তত্ত্ব খাড়া করে দু’পক্ষের সমর্থককেই কাছে টানার কৌশল নিল বিজেপি। দলের পঞ্চায়েত কমিটির আহ্বায়ক হওয়ার পর মঙ্গলবার তার প্রথম বৈঠক করেন মুকুল রায়। বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘‘এখন তো একই বৃন্তে দু’টি ফুল, সিপিএম আর তৃণমূল!’’ একই সঙ্গে তিনি মনে করান, ‘‘ত্রিপুরায় বাম, কংগ্রেস আর তৃণমূলকে কাছে টেনেই বিজেপি-র সরকার হয়েছে।’’
ত্রিপুরার ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে মমতা বলে আসছেন, সিপিএম ওই রাজ্যে ভোট মোটেই কম পায়নি। সুতরাং, সেখানে জিতে বিজেপি-র অতি আহ্লাদের কোনও কারণ ঘটেনি। তাঁর আরও বক্তব্য, বিজেপি সোর্স, ফোর্স এবং বিপুল টাকা ঢেলে ত্রিপুরা দখল করেছে। সিপিএম তার প্রতিবাদ করতে পারেনি বা করেনি। মমতার ওই সব মন্তব্যকে সামনে রেখেই তৃণমূল এবং সিপিএমের ‘আঁতাঁতের’ তত্ত্ব প্রচার করছে বিজেপি। তাদের আশা, মমতা যত সিপিএমের পাশে দাঁড়াবেন, ততই সুবিধা হবে পদ্ম শিবিরের। কারণ, সে ক্ষেত্রে তৃণমূল এবং সিপিএম বিরোধী মানুষের একাংশের ভোট চলে যাবে পদ্মের বাক্সে।
বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে এ দিন প্রশাসনিক জনসভায় অবশ্য সিপিএম এবং কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম রোজ আমাকে গালাগালি দেয়। মনে রাখবেন, আজও ওরা বিজেপি-র লজেন্স খায়। আমরা খাই না। সিপিএম, কংগ্রেস বিজেপি-র সঙ্গে বোঝাপড়া করতে পারে। কিন্তু তৃণমূল কখনও বোঝাপড়া করে না।’’ যার জবাবে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘দিদিমণি হয়তো জানেন না, কিন্তু ওঁর অনেক বিধায়কই লজেন্স খেয়েছেন। তার জন্যই আমার লজেন্সের কৌটো অর্ধেক খালি হয়েছে।’’
বিজেপি-র পঞ্চায়েত নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে এ দিন বলে দেওয়া হয়েছে, বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র ভূমিও তৃণমূলকে ছাড়া হবে না। প্রতি স্তরে প্রতি আসনে প্রার্থী দিতে হবে। পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতে পারে। সুতরাং, ২০ মার্চের মধ্যে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে হবে। অনলাইনে মনোনয়ন জমা নেওয়ার দাবিতে চাপ সৃষ্টি করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর।