নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে), মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
মোদীর বিরুদ্ধে কে? ’১৯-র লোকসভা ভোটের সময় এই প্রশ্ন প্রাসঙ্গিকতা পেয়েছিল। বাংলায় ’২১-এর বিধানসভা ভোটের ফলে তা আরও গতি পেয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ করে কি ’২৪-এর প্রস্তুতি শুরু করবেন বিরোধীরা? এই প্রশ্ন নিয়ে নিত্য তর্ক বিতর্কের ঝড় উঠেছে। কিন্তু উল্টো পথের পথিক সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠানে এসে দীপঙ্কর স্পষ্ট জানালেন, ভোটের আগে মুখ ঠিক করার অর্থ হল মোদীর ফাঁদে পা দেওয়া।
দীপঙ্কর বলেন, ‘‘আমাদের দেশে এখনও সংসদীয় গণতন্ত্র আছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে যে দল বা জোট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, তার নেতাই প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী হন। এটাই নিয়ম। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা একেবারে শেষে স্থির করার বিষয়। যেটা শেষের জিনিস সেটাকে প্রথমে নিয়ে আসা, এই চেষ্টাটাই মনে হয় ভুল। লোকসভা ভোটের আগে মুখ ঠিক করার অর্থ হল নরেন্দ্র মোদীর পাতা ফাঁদে পা দেওয়া।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘কৃষকদের থেকে আমাদের বিরোধী ঐক্য শেখা উচিত। এই যে এত বড় কৃষক আন্দোলন হল, পাঁচশোর বেশি কৃষক সংগঠন একসঙ্গে চলছে, আপনি কি কোনও এক জন কৃষক নেতার কথা বলতে পারবেন? পারবেন না। আজ ভারতের দরকার একটি ব্যাপকতম বিরোধী ঐক্য। তার জন্য দরকার নমনীয়তা।’’ দীপঙ্করের মতে, আগে বিজেপি-র বিপর্যয়ের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। সেটা করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর অভাব হবে না।