কেন কেষ্টকে ১৪ দিনের বিশ্রাম? নিজস্ব চিত্র।
‘অসুস্থ’ অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সরকারি চিকিৎসকদের পাঠিয়ে বিতর্কে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। বুধবার গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের দশম সমন এড়িয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। আর এ দিনই প্রকাশ্যে এসেছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর ‘স্বীকারোক্তি’। মঙ্গলবার কেষ্টকে দেখতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। তাঁর দাবি, সেখানে ‘রোগী’ অনুব্রত নিজেই তাঁকে বলেন, ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিতে। আর সেটাও কোনও ডাক্তারি প্যাডে নয়, একটি সাদা কাগজে লিখতে হয়েছে। এবং এই পুরো কাজই হাসপাতালের সুপারের নির্দেশে করতে হয়েছে বলে দাবি চিকিৎসকের।
কিন্তু বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব নিজেই গত শনিবার থেকে ছুটিতে রয়েছেন। ছুটিতে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে অধস্তনকে এমন নির্দেশ দিতে পারেন তিনি? এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
চিকিৎসক চন্দ্রনাথের দাবি, তিনি সরকারি কর্মচারী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতে তিনি বাধ্য। এমনকি, তাঁর এ-ও দাবি, অনুব্রতকে হাসপাতালে এসে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুপারই তাঁকে বলেন, নেতার বাড়িতে গিয়ে দেখে আসতে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে আর এক বিতর্ক। বিরোধীদের প্রশ্ন, অনুব্রত কোনও মন্ত্রী বা বিধায়ক নন, তাহলে মেডিক্যাল টিম নিয়ে তাঁর বাড়িতে কেন গেলেন সরকারি চিকিৎসকেরা? এ নিয়ে চন্দ্রনাথ জানাচ্ছেন, তিনি নিমিত্ত। যা করেছেন, সবই সুপারের নির্দেশে। অন্য দিকে সুপার বুদ্ধদেবের সঙ্গে বার বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। মাঝেমাঝে তাঁর মোবাইল ফোন খোলার মেসেজ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু ফোন করলে পর ক্ষণেই তিনি ‘নট রিচেবল’!
বোলপুর হাসপাতালের ডেপুটি সুপার সব্যসাচী ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “যা দেখেছি টিভির খবরে। আমার এই নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই। এ নিয়ে সুপার সাহেব বলতে পারবেন। উনি ছুটিতে আছেন।”