সাগরদ্বীপে বিরাট জনসমাগমের উপস্থিতি ধরে নিয়েই স্বাস্থ্যবিধিতেও বিশেষ নজর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। ফাইল চিত্র।
ধীর গতিতে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। আর ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়েই আয়োজিত হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। এ বার কুম্ভমেলা না থাকায় সাগরদ্বীপের পুণ্যস্নানে আসতে পারেন প্রায় ৩০ লক্ষ তীর্থযাত্রী। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাই বিরাট জনসমাগমের উপস্থিতি ধরে নিয়েই স্বাস্থ্যবিধিতেও বিশেষ নজর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। দু’বছর পর এ বার কলকাতায় সাগরমেলার শিবির থাকছে করোনা বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় সতর্ক থাকবে প্রশাসন। মেলায় থাকছে মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা এবং করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র। কোনও ব্যক্তির ন্যূনতম উপসর্গ দেখা দিলেই তিনি যাতে দ্রুত করোনা পরীক্ষা করাতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন।
কলকাতা থেকেই মূলত যাত্রীরা গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে রওনা হবে। তাই শনিবার গঙ্গাসাগর মেলার শিবিরের প্রস্তুতি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, পরিবহণ দফতরের সচিব, পুরকমিশনার বিনোদ কুমার, কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা-সহ পুর আধিকারিকরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কলকাতার বাবুঘাটে যেখানে এসে তীর্থযাত্রীরা একত্রিত হবেন সেখানে সব শিবিরেই পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত থেকে শুরু করে শৌচালয়-সহ রাস্তা এবং শিবির সাফাইয়ের কাজ করবে কলকাতা পুরসভা। জলের ব্যবস্থা করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। পরিবহণ দফতরের উদ্যোগে এক টিকিটেই যাওয়া যাবে মেলায়। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলায় কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্রের মতো বাবুঘাটেও কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্র করা হচ্ছে। তবে ভিড়ে যাতে করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে তাই কোনও করোনাবিধি থাকছে না। কিন্তু প্রশাসনিক সাবধানতা থাকবে সর্বত্র।