ফাইল ছবি
রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকার অভাব নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছে টিকা চেয়ে নবান্ন থেকে পাঠানো হয় একাধিক চিঠি। শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পর রাজ্যের জন্য অতিরিক্ত আট লক্ষ টিকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। পাশাপাশি অগস্টে রাজ্যকে ৭৩ লক্ষের বেশি টিকা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
জুলাইয়ে বাংলার জন্য ৭০ লক্ষ টিকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র সরকার। সে টিকাও সময় মতো না আসার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু মাস শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রের বরাদ্দ করা ৭০ লক্ষের বদলে ৭৮ লক্ষ টিকা পেল রাজ্য। জুলাই মাসে যে পরিমাণ টিকা বরাদ্দ করা হয়েছিল তার থেকে সাড়ে ছয় লক্ষ কোভিশিল্ড এবং দেড় লক্ষ কোভ্যাক্সিন রাজ্যে বেশি পেল বলে জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্য কর্তা।
তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় টিকাকরণে জোর দিতে চাইছে রাজ্য। কিন্তু টিকার অভাবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি টিকা দান কেন্দ্রে প্রথম টিকা দেওয়া বন্ধ করা হয়। মাসের শেষে অতিরিক্ত আট লক্ষ টিকা আসায় সে সমস্যা কিছুটা মিটবে বলে মনে করছেন স্বস্থ্যকর্তারা। এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতে রাজ্যে টিকার অপচয় কম হয়েছে। দেশের অনেক রাজ্যের তুলনায় বাংলা টিকাকরণে ভালো কাজ করেছে। আরও বেশি টিকা এলেও সেই টিকা দেওয়ার মত পরিকাঠামো রয়েছে রাজ্যের। অগস্টে ৯ লক্ষাধিক কোভ্যাক্সিন পাঠানো হবে বলে রাজ্যকে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এ ছাড়াও ৬৪ লক্ষ কোভিশিল্ড বরাদ্দ করা হয়েছে বাংলার জন্য।