বেসরকারি ল্যাবে করোনা পরীক্ষার প্রতীক্ষা। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাব এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার জন্য সরকারি নিয়ম পালন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। বহু ক্ষেত্রেই করোনা পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে অনেক বেশি টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর কিছুক্ষণের মধ্যে জেলার এমনই একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
জেলার কয়েকটি ল্যাবে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কারও কাছে ২,২৫০, আবার কারও কাছে ৩,১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে ৯০০ টাকা নেওয়ার কথা। বেশ কিছুদিন থেকেই ওই সেন্টারগুলি সাধারণ মানুষের বিভিন্ন রকম অসুবিধার সুযোগ নিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মত কোভিড-১৯ পরীক্ষার টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ। কোনও উপায় না থাকায় বাড়িতে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। তবে ইতিমধ্যেই কয়েকজন ভুক্তভোগী এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে খবর।
এ বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনীকুমার মাজিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নেব। যে সেন্টারগুলি এ ভাবে নিজেদের ইচ্ছেমত টাকাপয়সা নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করব। সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি নিয়মে উপকৃত হন। তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।’’ করোনা পরীক্ষার জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে কোনও বেসরকারি ল্যাব বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চাননি।
আনন্দবাজার ডিজিটাল এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এমনই একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত ওই ল্যাবরেটরিটি খোলা যাবে না বলেও জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক।অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও ওই ল্যাবরেটরিটি কী ভাবে আরটি পিসিআর পরীক্ষা করছিল, তা নিয়েও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।