Coronavirus in West Bengal

রাজ্যে করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২২৯, সংক্রমণের দৈনিক হার ৩ শতাংশের বেশি

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ১,৮৮৫ জন কোভিড রোগী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন ১,৭৯৯ জন। বাকি ৮৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:১৪
Share:

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ১,৮৮৫ জন কোভিড রোগী রয়েছেন। ফাইল চিত্র।

রাজ্য জুড়ে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা আবার ঊর্ধ্বমুখী। সেই সঙ্গে সংক্রমণের দৈনিক হারও বেড়েছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় মধ্যে আগের দিনের মতোই এক জন কোভিড রোগী মারা গিয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২৯। সোমবারের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল যে ১১৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মতো সংক্রমণের দৈনিক হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৩ শতাংশের গণ্ডি ছাড়িয়ে হয়েছে ৩.০৩ শতাংশ। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭,৫৪৮টি কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ২২৯টি পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ১,৮৮৫ জন কোভিড রোগী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন ১,৭৯৯ জন। বাকি ৮৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২১,৪৮৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এ ছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭২,২১৬ জনকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement