—প্রতীকী ছবি।
দশ বছরেও মাদক মামলার দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করেনি পুলিশ। আদালতের নির্দেশের পরেও ‘হুঁশ ফেরেনি’ উর্দিধারীদের। উপরন্তু পুলিশের হেফাজত থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে মামলার কেস ডায়েরি!
অভিযোগ, পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তার ফাঁকে কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত। তাতেই এত কিছু জানতে পেরেছে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি রাজা বসু রায়চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরেই ওই মামলার সঙ্গে যুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাই কোর্ট রমেশ আগরওয়াল এবং পবন আগরওয়াল নামে ওই দুই অভিযুক্তের আগাম জামিনের আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে। তাঁদের মাথাপিছু ১ লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড হয়েছে। এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, তদন্তকারীরা নিজেদের ক্ষমতা কাজে লাগাননি ও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার কোনও সদিচ্ছাও তাঁদের ছিল না। সিবিআইকে ওই পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি মামলা রুজু করে তদন্তে নামার পাশাপাশি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতেও সচেষ্ট হতে বলেছে কোর্ট।
সম্প্রতি এক ব্যক্তিকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে এক ‘প্রভাবশালী’ আইপিএস অফিসার-সহ রাজ্য পুলিশের ন’জন অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চতর কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। কোচবিহারের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কোচবিহারে ২০১৩ সালের ১৫ মে প্রায় সাড়ে চার হাজার বোতল কাশির ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সূত্রের খবর, গাড়িচালক সুশান্ত ঘোষকে গ্রেফতার করলেও পাচারের দায়িত্বে পবন এবং সুরেশের নাগাল পায়নি পুলিশ। ২০১৫ সালে মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়নি। এর পরে কোচবিহার আদালত ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে বিচারকের সামনে হাজির করাতে বললেও পুলিশ তা পালন করেনি বলে অভিযোগ। এর পরে কোর্ট রুষ্ট হওয়ায় কোচবিহারের এসপি একটি সিট গঠন করেছিলেন। কিন্তু তার কাজেও সন্তুষ্ট নয় হাই কোর্ট।