দুই শিশু কমিশনের দ্বন্দ্বে ক্ষুব্ধ আদালত

জলপাইগুড়ির একটি হোম থেকে দত্তক দেওয়ার নাম করে ১৭টি শিশু বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপির এক নেত্রীরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

জলপাইগুড়ির হোম থেকে শিশু পাচার নিয়ে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন ও পশ্চিমবঙ্গের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের বিবাদ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চের মন্তব্য, দুই বিধিবদ্ধ সংস্থা নিজেদের মধ্যে যে ভাবে লড়ছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

Advertisement

জলপাইগুড়ির একটি হোম থেকে দত্তক দেওয়ার নাম করে ১৭টি শিশু বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় বিজেপির এক নেত্রীরও। এ বিষয়ে সিআইডি-র তদন্তের মধ্যেই জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনও তদন্ত শুরু করে। জাতীয় কমিশন অভিযোগ তোলে, শিশু পাচার চক্রের বাড়বাড়ন্তের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতাই দায়ী। জাতীয় কমিশনের তদন্ত তথা এক্তিয়ার নিয়ে আপত্তি তোলে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা হাইকোর্ট জাতীয় কমিশনের কাজে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। জাতীয় কমিশনের বক্তব্য ছিল, এক মাত্র তারাই তদন্ত করতে পারে।

আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, গরিব শিশুদের উপকারের জন্য আপনারা যে ঐকমত্যে আসতে পারছেন না, তা খুবই দুঃখজনক। বিচারপতি গুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা জাতীয় বা রাজ্য কমিশন নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা শুধু গরিব শিশুদের নিয়ে চিন্তিত।’’ এই শিশু পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে এর আগে সুপ্রিম কোর্টেই জামিনে মুক্তি দিয়েছে। জলপাইগুড়ির হোম থেকে শিশু পাচারের ঘটনায় পরে গোটা দেশেই হোম বা অনাথ আশ্রমের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যে রাজ্যে কী ভাবে বিভিন্ন অনাথ আশ্রম বা হোম চালানো হচ্ছে, সেখানকার শিশুদের কোন পদ্ধতিতে দত্তক দেওয়া হচ্ছে, শিশুদের কী অবস্থায় রাখা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement