গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আপনারা কি বাংলার শিবসেনা?
প্রশ্নটা শুনেই ক্ষেপে উঠছেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়। পাল্টা আক্রমণে গিয়ে বলছেন, ‘‘এটাই হল বাঙালির কোণঠাসা হয়ে পড়ার লক্ষণ। বাঙালি সংগঠনকে চিহ্নিত করা হচ্ছে অবাঙালি দলের নামে।’’
আইএসআই-এর অধ্যাপক গর্গ যা-ই বলুন, তাঁর সংগঠন যে ধরনের কার্যকলাপ শুরু করেছে, তাতে তীব্র অসহিষ্ণুতা দেখতে পাচ্ছে রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরের বড় অংশ। যে ভাবে বেছে বেছে অবাঙালিদের নিশানা করে সর্বসমক্ষে হুমকি-শাসানি চলছে, তা সত্যিই বেশ বেনজির বাংলায়। ষাটের দশকের শেষ দিকে উগ্র মরাঠি অস্মিতা উস্কে দিয়ে যে রকম হু-হু করে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার জনভিত্তি বাড়িয়েছিলেন বাল ঠাকরে, ঠিক সেই উগ্রতার মডেলই যেন অনুসরণ করছে গর্গর ‘বাংলা পক্ষ’। বলছেন বিজেপি নেতারা, বলছে সিপিএম-ও। বাঘের মুখ আঁকা লোগোতেও শিবসেনার সঙ্গে বিস্তর মিল বাংলা পক্ষের।
পশ্চিমবঙ্গে জমি, পুঁজি, চাকরি এবং ব্যবসায় বাঙালির অগ্রধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি তুলে প্রথমে শুরু হয়েছিল মিটিং-মিছিল। বাংলা পক্ষের ব্যানারে এবং গর্গর নেতৃত্বেই চলছিল সে সব। তার পরে বাসে-ট্রেনে কারা যেন স্টিকার লাগিয়ে দিয়েছিলেন— বাংলায় থাকতে হলে বাংলা ভাষা শিখতেই হবে। গত মাসে কলকাতা এবং শহরতলি জুড়ে ফ্লেক্স ঝোলানো হয়েছিল— ‘পরাঠা নয় পরোটা’ বা ‘সওরভ নয় সৌরভ’ ইত্যাদি। সে সবের নেপথ্যেও বাংলা পক্ষ-ই রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছিল। সে জল্পনা সম্পর্কে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’, কিছুই বলতে চাননি গর্গ। কিন্তু তার পরে যা শুরু হয়েছে, তা বেশ বিপজ্জনক। কলকাতা বা শহরতলিতে তো বটেই, রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও অবাঙালিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে দল বেঁধে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। সেই হেনস্থার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেওয়া হচ্ছে।
এক অবাঙালি তরুণ সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন বাঙালি মহিলাদের সম্পর্কে। তাঁর বিরুদ্ধে সাইবার আইনে অভিযোগ জানিয়ে পুলিশি পদক্ষেপের বন্দোবস্ত করানো যেত। কিন্তু পুলিশে ভরসা রাখেননি বাংলা পক্ষের লোকজন। সদলবলে হাজির হয়েছেন সেই তরুণের পাড়ায়। সেই তরুণকে, তাঁর মাকে এবং বাবাকে বাইরে এনেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে আপত্তিকর কথা লেখা হয়েছিল, তা সকলের সামনে ফের পড়তে বাধ্য করেছেন। কেন ওই কথা লিখেছিলেন সেই তরুণ, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তুমুল ধমক, হুমকি, শাসানি চলেছে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে। সর্বসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে। পরিণতি খুব খারাপ হতে পারে বলে ওই তরুণের মা-বাবাকেও শাসানো হয়েছে। তার পরে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে।
ট্রেনের কামরায় অবাঙালি যুবককে ঘিরে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করছেন গর্গরা। ছবি: বাংলা পক্ষের ফেসবুক পেজে দেওয়া ভিডিয়ো থেকে
আরও পড়ুন: জোর করে বিজোড় নম্বরের গাড়ি নামিয়ে জরিমানা দিলেন বিজেপি সাংসদ, পেলেন ফুলের তোড়া
এর কিছু দিন আগে কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করা হয়েছিল। আরপিএফ-এর অবাঙালি কর্মী হেনস্থা করেছেন এক বাঙালি যাত্রীকে— এই ‘অভিযোগ’ তুলে। কেন ‘হেনস্থা’, আদৌ হেনস্থা কি না, ওই বাঙালি যাত্রীর নিজের কোনও ত্রুটি ছিল কি না— সে সব প্রশ্নের উত্তর খুব স্পষ্ট নয়। আপত্তি ঠিক কোনটায়— বাংলার বুকে বাঙালির হেনস্থায়, নাকি আরপিএফ কর্মীর অবাঙালি পরিচয়ে, স্পষ্ট নয় তা-ও। তবু বিক্ষোভ হয়েছে, বিক্ষোভের ছবি সদর্পে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়াও হয়েছে।
এতেই শেষ নয়। সম্প্রতি পুরুলিয়া থেকে কলকাতার দিকে আসা একটি ট্রেনের কামরায় খোদ গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক হিন্দিভাষী যুবককে ঘিরে ধরে ক্ষমা চাওয়ানোর দৃশ্যও ফেসবুকে ছাড়া হয়েছিল। বাঙালিদের সম্পর্কে ওই যুবক আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ তুলে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। গোলমাল এতটাই বেড়েছিল যে, ট্রেনে মোতায়েন আরপিএফ কর্মীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
এই রকম একাধিক ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়তে শুরু করেছে বাংলা পক্ষ।
বাংলা পক্ষের নিশানায় যে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী অবাঙালিরা, তা নিয়ে সংশয় কমই। গর্গরা বলছেন ‘‘এটা বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। বাঙালির নিজের রাজ্যে যে বাঙালিই অগ্রাধিকার পাবে, হিন্দির আগ্রাসন যে চলবে না, তা বুঝিয়ে দেওয়ার লড়াই।’’ কিন্তু যে পদ্ধতিতে সে ‘লড়াই’ চালানো হচ্ছে, তা আদৌ আইনসম্মত কি না, সে নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থেকে থাকে, যদি কেউ ফেসবুকে বা প্রকাশ্যে কোনও জাতি বা ধর্ম বা জনগোষ্ঠী সম্পর্কে অপমানজনক কিছু বলে থাকেন, তা হলে আইনে তাঁর শাস্তির বিধান রয়েছে। পুলিশের দ্বারস্থ হতে হবে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। মহিলাদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ থাকলে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থও হওয়া যাবে। কিন্তু তার বদলে কাউকে ভয় দেখিয়ে বা জোর করে ক্ষমা চাওয়ানো যায় না। এটা আইন হাতে তুলে নেওয়া।’’
আরও পড়ুন: ‘মানুষের গোপনীয়তা বলে কিছুই রইল না’ ফোনে আড়িপাতা নিয়ে বিরক্ত সুপ্রিম কোর্ট
গর্গ বলছেন, ‘‘আমরা কাউকে মারধর তো করছি না। আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন!’’ জয়ন্তনারায়ণ বলছেন, ‘‘অবশ্যই আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রশ্ন উঠছে এবং আইন ভাঙাও হচ্ছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘কোনও অভিযোগ সত্য, না মিথ্যা, তার বিচার আদালতে হয়। কোনও একটা সংগঠন এই ভাবে বিচারক বা আদালতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে না। সবাই মিলে এক জনকে ঘিরে ধরলাম, জোর করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করলাম, তার পরে সেই ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিলাম— এটা যাঁরা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই উল্টে মামলা হওয়া উচিত। এই ভাবে কারও সম্মানহানি করা বেআইনি।’’
কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ। ভিডিয়ো: বাংলা পক্ষের ফেসবুক পেজ থেকে।
অর্থাৎ বাংলা পক্ষ যে সব ঘটনা ঘটাচ্ছে, দেশের আইনে তা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে আইনজ্ঞরা জানাচ্ছেন। আর রাজনীতিকরা আরও তীব্র আক্রমণে বিঁধছেন বাংলা পক্ষকে।
গর্গদের কার্যকলাপের কড়া নিন্দা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলা পক্ষের এই সব কার্যকলাপের নেপথ্যে তৃণমূল রয়েছে বলে তাঁর দাবি। দিলীপের কথায়, ‘‘তৃণমূলের এই সব রাজনীতি আমরা জানি। বাঙালি এবং অবাঙালিদের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে লাভ তুলতে চাইছে। তাই অবঙালিদের বিরুদ্ধে বাঙালিদের উস্কে দিতে চাইছে।’’ অসমের এনআরসি নিয়েও বাঙালিদের ক্ষেপানোর চেষ্টা তৃণমূল করেছে বলে রাজ্য বিজেপির সভাপতি অভিযোগ করেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘অসমের বাঙালিকে ওঁরা ক্ষেপাতে পারেননি। এ বার পশ্চিমবঙ্গে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছেন। কেউ আত্মহত্যা করলেই তাঁর পরিবারকে দিয়ে বলানো হচ্ছে, এনআরসির জন্য আত্মহত্যা। এ কথা বললেই পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে।’’ বাংলা পক্ষকে কাজে লাগিয়ে ‘উগ্র প্রাদেশিকতা’ উস্কে দেওয়ার চেষ্টাও তৃণমূলই করছে বলে দিলীপের অভিযোগ।
তৃণমূল প্রত্যাশিত ভাবেই সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাজ্যের শাসক দলের প্রবীণ নেতা তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘হাস্যকর অভিযোগ’। বাংলা পক্ষের কার্যকলাপের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্কই নেই বলে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে আবার কোনও কিছু উস্কে দেওয়া যায় নাকি! এত সস্তায় বাঙালি জাতীয়তাবাদ উস্কে দিয়ে কেউ লাভবান হতে পারেন বলে যাঁরা মনে করেন, তাঁদের কথার উত্তরে আমার কিছু বলার নেই।’’ তবে বাংলা পক্ষের কার্যকলাপ সম্পর্কে সুব্রত মুখোপাধ্যায় কিছু বলছেন না।
সিপিএম তীব্র আক্রমণ করছে বাংলা পক্ষকে। তবে এই সংগঠনের সঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি উভয়েরই যোগ রয়েছে বলে সিপিএম নেতারা দাবি করছেন। দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‘কারা এ সব করাচ্ছে, বুঝতে একটুও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যাঁরা বিভাজনের রাজনীতি করেন, তাঁরা সবাই এর নেপথ্যে রয়েছেন।’’ সেলিমের কথায়, ‘‘এর আগে দুটো দল মিলে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন ঘটাচ্ছিল। এ বার ভাষার ভিত্তিতেও বিভাজন ঘটানো শুরু হয়েছে।’’ রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কথায়, ‘‘এই বাংলা পক্ষে এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা সকালে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। রাত হলে বিজেপি-কে ফোন করেন।’’
কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় এমনই ফ্লেক্স পড়েছিল। —নিজস্ব চিত্র
সেলিমের অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি আমাদের বিরুদ্ধে এনআইএ লাগাতে চাইছে। আর সেলিম বলছেন, আমরা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখি! ছট পুজোয় এ রাজ্যে এত দিন ছুটি দেওয়ার প্রতিবাদ আমরা সবার আগে করেছি। আর সিপিএম বলছে, আমরা তৃণমূলের বি-টিম!’’
ছট পর্ব নিয়ে গর্গর এই দাবি অবশ্য নস্যাৎ করছেন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বাঙালিদের নামে কোনও অবাঙালি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ করে তাঁকে ঘেরাও করছে এই বাংলা পক্ষ। আর যখন বাঙালিরা বাংলার ক্ষতি করছেন, তখন বাংলা পক্ষ কোথায় যাচ্ছে! ছট পুজোয় বিহারের চেয়েও বেশি ছুটি দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তালা ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে ঢোকা হচ্ছে ছটের জন্য। পুলিশ কিচ্ছু করছে না। দায় কার? এর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস ক’বার ঘেরাও করতে গিয়েছেন গর্গরা?’’
সিপিএম বিধায়কের আক্রমণের উত্তরে গর্গর প্রতিরোধ কিন্তু খুব জোরদার নয়। তিনি বলছেন, ‘‘ঘেরাও করব কী ভাবে? আমাদের তো অত বড় সংগঠন নেই।’’ এর পরে অবশ্য সিপিএমের ঘাড়েই দায় চাপানোর পাল্টা কৌশল নিচ্ছেন বাংলা পক্ষের নেতা। তিনি বলছেন, ‘‘যদি তন্ময়বাবুরা মনে করে থাকেন যে, ছট নিয়ে যা হচ্ছে, তা অন্যায়, তা হলে ওঁরা ঘেরাও করুন না। ওঁদের তো অনেক বড় পার্টি। আমার হাতে হাজার বিশেক ছেলেমেয়ে থাকলে আমরাও ঘেরাও করতাম।’’
এই সব পোস্টারের নেপথ্যেও বাংলা পক্ষ ছিল বলে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের ধারণা। ছবি: বাংলা পক্ষের ফেসবুক পেজ থেকে
শুধু কোনও রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করার অভিযোগ নয়, ভিন্রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিদের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করার অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে বাংলা পক্ষের বিরুদ্ধে। তন্ময় ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘গর্গরা মানুষকে সম্পূর্ণ ভুল বোঝাচ্ছেন। উগ্র জাতীয়তাবাদ বা উগ্র ধর্মান্ধতার মোকাবিলা কখনও উগ্র প্রাদেশিকতা দিয়ে করা যায় না। বাংলা পক্ষ পশ্চিমবঙ্গে অবাঙালিদের সঙ্গে যা করছে, তাতে কর্নাটকে বা উত্তরপ্রদেশে বা বিহারে বা অসমে থাকা বাঙালিদের বিপদ বাড়তে পারে যে কোনও সময়ে। তাঁদের উপরে হামলা হলে দায়িত্ব ওই গর্গ চট্টোপাধ্যায় নেবেন তো?’’
কী বলছেন বাংলা পক্ষের নেতা? ঘুরিয়ে তিনি আরও বেশি বিষ উগরে দিচ্ছেন এ রাজ্যে থাকা অবাঙালিদের বিরুদ্ধে। বলছেন, ‘‘যদি কর্নাটকে বা উত্তরপ্রদেশে বা বিহারে বা অসমে থাকা কোনও বাঙালি সে রাজ্যের মেয়েদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন, যদি ধর্ষণ করেন, যদি অপরাধচক্র চালান, যদি বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তা হলে তাঁদের দায় বাংলা পক্ষ নেবে না।’’
কী বলতে চাইলেন গর্গ? এ রাজ্যে যে অবাঙালিরা থাকেন, তাঁরা সবাই বা অধিকাংশই ওই ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত? গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, ‘‘আমি কারও সম্পর্কে কিছু বলছি না। হাওড়া স্টেশন বা শিয়ালদহ স্টেশন এলাকায় নজর রাখুন। কারা কী ধরনের কার্যকলাপে জড়িত, বুঝে যাবেন।’’