নবান্নের তরফে চিঠি রাজ্যপালকে।— ফাইল চিত্র।
নদিয়ার তেহট্টের ঘটনা গভীর উদ্বেগে ফেলেছে রাজ্য সরকারকে। সেখানে এক পরিবারের পাঁচ জনের নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে আতঙ্কের— তাঁদের রাজধানী এক্সপ্রেস এবং লালগোলা প্যাসেঞ্জারে যাতায়াত, অটোয় বার্নিয়া গ্রামে যাওয়া, গ্রামে অবাধ মেলামেশা এবং অবশ্যই শহরের গণ্ডি পেরিয়ে জেলার গ্রামে ভাইরাসের ঢুকে পড়া।
করোনা-রোধে পরিবারের কোনও সদস্য বিদেশ থেকে এলে কী করতে হবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা রয়েছে। সেই নির্দেশিকা না-মেনে রেলপথে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছেন তেহট্টের ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবারই পরিবারের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এর আগে বিলেত-ফেরত আমলা-পুত্র এবং ব্যবসায়ী পুত্র এবং তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও বিধি না মেনে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে মহামারি আইনকে অস্ত্র করে আগামী দিনে কড়া পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে খবর, এ ভাবে তথ্য গোপন করে বা অবাধে ঘুরে বেড়িয়ে যদি কেউ সংক্রমণ ছড়ান, তা হলে মহামারি আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
কী ভাবে এই সংক্রমণ রাজ্যের প্রত্যন্ত জেলায় ঢুকে পড়ল, তার গতিপথে চোখ রাখলেই এই ভাবনার কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, লন্ডন ফেরত যে তরুণের দেহ থেকে ওই পরিবারের বাকি পাঁচ সদস্যের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়েছে, তাঁর বাবা-মা দিল্লি নিবাসী। আক্রান্ত পাঁচ সদস্যের মধ্যে মধ্যবয়সি এক মহিলা এবং এক যুবতী সম্পর্কে তরুণের মাসি। আরও তিন আক্রান্তের মধ্যে রয়েছে মধ্যবয়সির ১১ বছরের ছেলে এবং যুবতীর দুই সন্তান, ন’মাসের শিশুকন্যা এবং ছ’বছরের বালিকা। তাঁরা এখন আইডি হাসপাতালে।
গত ১৬ মার্চ রাত ১২টা নাগাদ লন্ডন থেকে তরুণ দিল্লি ফেরেন। সে দিনই ভোর ৫টা ৫ মিনিটের উড়ানে দিল্লি থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন যুবকের বাবা-মা। ২৭ মার্চ যুবকের দাদুর বাৎসরিক কাজ ছিল। সে জন্য সপ্তাহখানেক আগে দম্পতি বিমানবন্দর থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে বার্নিয়া গ্রামে যান। তরুণের দুই মাসি সন্তানদের নিয়ে ২০ মার্চ রাজধানী এক্সপ্রেসে শিয়ালদহ পৌঁছন। এর পর