এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ফের দুশোর উপরে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার ধরে টানা ৪ দিন। সেই সঙ্গে গত ৩৫ দিনের ভিতরে সর্বোচ্চ সংক্রমণও ঘটল গত ২৪ ঘণ্টায়। রাজ্যে টানা ৪ দিন ধরে ১ শতাংশের উপরেই রয়েছে সংক্রমণের হার। যা কিছুটা হলেও উদ্বেগ জিইয়ে রাখল।
শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৯ জন। যা গত ৩৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৩০ জানুয়ারি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩১০। তার পর শুক্রবার তা হয়েছিল ২৫৫। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আরও কিছুটা বেড়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৩৫ জন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ কলকাতায় (৮৩)। এ ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা (৫২), হাওড়া (২৩), পশ্চিম বর্ধমান (১৭) এবং হুগলি (১৪), নদিয়া (১০), এবং জলপাইগুড়ি (১০)-তে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা দুই অঙ্কে।
শুক্রবারের তুলনায় শনিবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ফলে বেড়েছে সংক্রমণের হারও। ২৪ ঘণ্টায় যত সংখ্যক টেস্ট হয়, তার মধ্যে যত রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তার শতকরা হারকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা ‘সংক্রমণের হার’ বলা হয়। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমণের হার ১.৩২ শতাংশ। শনিবার পর্যন্ত মোট সংক্রমণের হার ৬.৬৪ শতাংশ। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২০ হাজার ৮৫১। শনিবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৯ হাজার ৬৬৫।
শুক্রবারের মতো শনিবারও সুস্থতার হার ৯৭.৬৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৭০ জন। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক সুস্থের থেকে কম হলেও, ফারাক সামান্যই। এই নিয়ে রাজ্যে সুস্থের সংখ্যা পৌঁছল ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৪৫-এ।
শনিবারও রাজ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক জন হাওড়া এবং আর এক জন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এই নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ১০ হাজার ২৭৭ জন।