গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল অনেকটাই। টেস্টের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার তিনশোর মতো বেশি হলেও নতুন আক্রান্তের সংখ্যা তার তুলনায় অনেকটাই বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধিতে কিছুটা উদ্বেগ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও ১ থেকে বেড়ে হয়েছে ২।
শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৭৬। বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০৯। বুধবার ছিল ২২৫।
নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা শুক্রবার বেড়েছে ১ হাজার ৩৬০। কিন্তু সেই তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে সংক্রমণের হার। ২৪ ঘণ্টায় যত সংখ্যক টেস্ট হয়, তার মধ্যে যত রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তার শতকরা হারকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা ‘সংক্রমণের হার’ বলা হয়। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী সংক্রমণের হার ১.২২ শতাংশ। শুক্রবার পর্যন্ত মোট সংক্রমণের হার ৬.৬৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ১.০৭ শতাংশ। শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০,৮৫১ টি। বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৪৯১।
সুস্থতার হার অবশ্য শুক্রবারও বেড়েছে। বুলেটিন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন। এই নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৭৫। বর্তমানে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২২৬। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী সুস্থতার হার ৯৭.৬৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ৯৭.৬৫ শতাংশ।
প্রায় ১০ মাস পর গত ১ মার্চ রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা কমে হয়েছিল শূন্য। তার পর থেকে ১ জন ২জনের মৃত্যু হচ্ছে। শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে মোট কোভিডের বলি হলেন ১০ হাজার ২৭৫ জনের। বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা ছিল ১।
শুক্রবার প্রকাশিত বুলেটিনে রাজ্যের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায় ৭৮ জন। নতুন আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় এই সংখ্যা ৭২। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫, হাওড়ায় ১৪, পশ্চিম বর্ধমানে ১২ এবং বাঁকুড়ায় ১০ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। অন্য কোনও জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছয়নি।