Coronavirus Lockdown

বঙ্গে আরও ১০০ ট্রেন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যের যে চিন্তাও রয়েছে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বাসে চড়েই ৯০ হাজারের বেশি মানুষ রাজ্যে ঢুকেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ০৪:৩৩
Share:

ছবি রয়টার্স।

ভিন্‌ রাজ্যের শ্রমিকদের আনতে ৯টি ট্রেন আসছে। রাজ্য আরও ১০০ ট্রেন চেয়ে রেলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছে বলে মঙ্গলবার নবান্নে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‘যাঁরা বাইরে আছেন তাঁরা স্বাগত। সবাইকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। ১০০টি ট্রেনে তাঁদের ফিরিয়ে আনব। একটু সময় দিতে হবে। ধাপে ধাপে সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে।’’

Advertisement

শুধু ফিরিয়ে আনাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন,‘‘আপনারা আর ফিরে যাবেন না। এ রাজ্যেই থাকুন। একটু সময় লাগতে পারে। সবার হাতে কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করব। দুর্দিনে যাঁরা বাইরে থাকতে দেননি, তাঁদের ওখানে ফিরে যাওয়ার দরকার নেই।’’

তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজ্যের যে চিন্তাও রয়েছে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বাসে চড়েই ৯০ হাজারের বেশি মানুষ রাজ্যে ঢুকেছে। তা ছাড়া পায়ে হেঁটে, ভাড়া গাড়িতে অন্যভাবে আরও হাজার দশেক লোক লকডাউনে রাজ্যে ফিরেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: চাকা ঘুরল ঘরে ফেরার ৮ ট্রেনের

তাঁদের অনেকের মধ্যে করোনা দেখা গিয়েছে। বীরভুম, উত্তর দিনাজপুর গ্রিন জেলা ছিল, এখন হয়তো অরেঞ্জ হয়ে যাবে। মালদহ, মুর্শিদাবাদেও সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু পরিযায়ীদের পিছু পিছু জেলাতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে তিনি তাঁদের প্রতি কোনও বিরূপ মনোভাব সরকারের নেই বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এঁরা আমাদের রাজ্যেরই মানুষ। ফলে করোনা হলেও চিকিৎসা করাতে হবে। শুধু অনুরোধ, যাঁদের পরীক্ষা করাতে হবে তাঁরা সরকার, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। করোনা হয়েছে মানে কলঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এক সময় কলেরা, চিকেন পক্স ইত্যাদি নিয়েও মানুষের ভয় ছিল। এখন কেউ এ সবে ভয় পায় না। রাজ্যের ২৫% মানুষ ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে ফিরে গিয়েছেন। তাই করোনা হলে পরীক্ষা করাতে দিন।

আরও পড়ুন: বন্দিদশা শেষে ঘরে ফেরার আনন্দে চোখে জল যাত্রীদের

ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েই এ রাজ্যে আনা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ রাজ্যে আসার পর তাঁদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজেরও ব্যবস্থা করবে সরকার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে তাঁদের কাজ দেওয়ার জন্য আমলাদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিজেদের ব্যবস্থায় প্রতিদিনই শ্রমিকেরা রাজ্যের সীমানায় এসে হাজির হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকেরা তা জানতে পারছেন না। ফলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সময় লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‘যদি রাজ্যে আসতেই হয় তা হলে খবর দিয়ে আসতে হবে। তা হলে সীমানায় এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement