প্রতীকী ছবি।
চালের লড়াই আপাতত মিটেছে। কিন্তু ডালের বিবাদ মিটছে না। তাই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার চাল রেশনে বিলি হলেও মে মাসে ডাল বিতরণের সম্ভাবনা নেই বলে রাজ্যের খাদ্য দফতর সূত্রের খবর। এপ্রিলের কোটার মসুর ডাল জুনের রেশনের সঙ্গে বিলি করা যাবে বলে জানান খাদ্যকর্তাদের একাংশ। কিন্তু জুলাইয়ে মসুর, গোটা মুগ, নাকি ছোলার ডাল বিলি হবে— তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ শুরু হয়েছে।
রাজ্যে পরিবার-পিছু এক কেজি ডাল দেওয়ার জন্য সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন ডাল দরকার। এই ডাল সরবরাহকারী কেন্দ্রীয় সমবায় সংস্থা নাফেডের বক্তব্য, কেন্দ্রের চাল-ডাল নিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম দিকে টালবাহানা করছিল। তাই মসুর ডাল উত্তর-পূর্বে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পরে চাল-ডাল নিতে রাজি হওয়ায় তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এপ্রিলের কোটার প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মেট্রিক টন ডাল রাজ্যে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। যদিও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রবিবার টুইটে জানান, রাজ্যের প্রাপ্য ডাল এখনও নাফেডের কাছেই রয়েছে। খাদ্য দফতরের হাতে আসেনি।
রাজ্য জুলাইয়ের জন্যও মসুর ডাল চেয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের ভাঁড়ারে আর মসুর ডাল নেই। কেন্দ্র গোটা মুগ সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। নবান্ন জানিয়েছে, এ রাজ্যে গোটা মুগ খাওয়া হয় না। তা ভেঙে মুগ ডাল করে দেওয়া হোক। কেন্দ্রের বক্তব্য, বঙ্গে গোটা মুগ ভাঙার পর্যাপ্ত কল নেই। জুনের মধ্যে রাজ্যে ডাল পৌঁছে দিতে গেলে গোটা মুগ ভাঙা সম্ভব নয়। খাদ্য দফতর জানাচ্ছে, নাফেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব চাড্ডা কেন্দ্রীয় খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রককে জানিয়েছেন, বঙ্গ গোটা মুগ না-নিলে ছোলা বা ছোলার ডালের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। নবান্ন মসুরের দাবিতেই অনড়। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দিল্লি প্রথম মাসে মসুর দিয়ে পরের মাসে অন্য কিছু দিতে চাইছে। আমরা যে গোটা মুগ নেব না, তা জানিয়ে দিয়েছি।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)