PPE Suit

বর্মবস্ত্র সব জেলে

দু’-একটি জেলে বর্মবস্ত্র তৈরি হয়েছিল। তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল কোনও কোনও জেলের কর্তৃপক্ষের কাছে।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ০৬:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার চোখরাঙানির মধ্যে কারাগারের কর্মী-আধিকারিক এবং বন্দিদের সুরক্ষার ফাঁকফোকর মেরামতের চেষ্টা চালাচ্ছে কারা দফতর। তারই অঙ্গ হিসেবে এ বার বঙ্গের সব জেলে পৌঁছে যাচ্ছে সাদা রংয়ের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা বর্মবস্ত্র। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ জেলেই তা পৌঁছে গিয়েছে। সঙ্গে যাচ্ছে গ্লাভসও।

Advertisement

দু’-একটি জেলে বর্মবস্ত্র তৈরি হয়েছিল। তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল কোনও কোনও জেলের কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে সেগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। খুব বেশি পরিমাণে তা তৈরিও করা যায়নি। ফলে মাত্র কয়েকটি জেল ওই বর্মবস্ত্র পেয়েছিল। এ বার গুণমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সব জেলই যাতে পায়, সেই জন্য কেন্দ্ৰীয় ভাবে বর্মবস্ত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কারা দফতর। মহকুমা, জেলা, বিশেষ, কেন্দ্রীয়, মহিলা, মুক্ত— সব ধরনের জেলেই তা পাঠানো হচ্ছে। গড়ে তিন-চারটি পিপিই পাচ্ছে প্রতিটি জেল। গড়ে শতাধিক গ্লাভসও পাচ্ছে তারা।

বিভিন্ন সেন্ট্রাল জেলে মাস্ক তৈরি হচ্ছে। সেগুলো রাজ্যের বিভিন্ন জেলে তো ব্যবহৃত হচ্ছেই, সেই সঙ্গে বন্দিদের তৈরি মাস্ক গিয়েছে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছেও। দু’-একটি কারাগার ছাড়া রাজ্যের প্রায় সব জেলেই হাসপাতাল রয়েছে। অনেক মহকুমা জেল হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেখানে অবশ্য বহির্বিভাগের ব্যবস্থা আছে। অনেক জেল হাসপাতালেই নিয়ম করে চিকিৎসা হয়। চিকিৎসাধীন থাকেন বন্দিরা। রাজ্যের সব জেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য বর্মবস্ত্র পাঠিয়েছে কারা দফতর। প্রয়োজন অনুযায়ী তার সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। এক কারাকর্তা বলেন, ‘‘জেল সুরক্ষিত রাখতে যা যা পদক্ষেপ করা উচিত, সবই করা হচ্ছে।’’ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও জেল ফটকের পাহারায় থাকা কর্মী-অধিকারিকেরা গ্লাভস ব্যবহার করবেন বলে কারা দফতর সূত্রের খবর। তবে বর্মবস্ত্র ও গ্লাভস কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট জেল-কর্তৃপক্ষ। বাংলার জেল এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত রয়েছে। আগামী দিনেও থাকবে বলে আশা করছেন কারাকর্তারা।

Advertisement

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement