করোনা জয়ী বৃদ্ধ। নিজস্ব চিত্র
কিছু দিন আগের কথা। করোনা হয়েছে জানার পর হতাশা আর আতঙ্কে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন নদিয়ার চাকদহের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বছর বাষট্টির এক প্রৌঢ়। কিন্তু তাঁর থেকে প্রায় চল্লিশ বছরের বড় চাকদহেরই আর এক বৃদ্ধ সাহসের সঙ্গে করোনা জয় করে জেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। নতিপত্র অনুযায়ী, এই করোনাজয়ীর বয়স একশো ছ’বছর!
চাকদহ শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাসিন্দা এখন সুস্থ আছেন। তাঁর বাড়ির ছ’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা সকলে হোম আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই বৃদ্ধের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চাকদহ ব্লক স্বাস্থ আধিকারিক তণ্ময় হালদার, চাকদহ পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর সুপ্রকাশ বিশ্বাস।
বয়স অত্যন্ত বেশি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তিনি কারও কথা শোনেননি। জোরের সঙ্গে দাবি করেছিলেন, বাড়িতে থেকেই সুস্থ হবেন। এবং সেটা এই বয়সেও হয়ে দেখিয়েছেন।
পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর সুপ্রকাশ বিশ্বাস বলেন, “২০ নম্বর ওয়ার্ডের কে বি এম এলাকায় বছর বাষট্টির এক প্রৌঢ় করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছিলেন। কিন্তু একশো ছ’বছর বয়সেও এই বৃদ্ধের মনের জোর ছিল অসম্ভব বেশি। তাঁর কথায়, “মানুষের মন থেকে করোনা সম্পর্কে অযথা আতঙ্ক দূর করতে জেলায় এই বৃদ্ধের কথা উল্লেখ করে সচেতনতা অভিযান চালানো হবে।’’
চাকদহ করোনা ভলান্টিয়ারদের পক্ষে সৌমিত্র ভট্টাচার্যও বলেন, “এই বৃদ্ধের মানসিক শক্তির কথা সকলের কাছে তুলে ধরলে প্রচারে অবশ্যই ভাল ফল পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয়েছে।’’
জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯