লালারসের নমুনা পরীক্ষা। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে করোনাআক্রান্তদের মধ্যে মহিলাদের মৃত্যুর হার তুলনামূলক ভাবে বেশি বলে সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে। এ দিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ন’জনের।
এ দিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানকে বিভিন্ন মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করে রাজ্যের করোনা-নথির চেহারায় বদল আনা হয়েছে। বুলেটিনে জানানো হয়েছে, করোনা পজ়িটিভ মৃতদের মধ্যে কো-মর্বিডিটি ছিল, এমন রোগীর সংখ্যা ২৬৬ জন। শতাংশের হিসাবে যা ৬৫.৬ শতাংশ। কো-মর্বিডিটি নেই এমন রোগীর সংখ্যা ১৩৯, অর্থাৎ ৩৪.৪ শতাংশ। এই তথ্য জানিয়ে, বয়স এবং লিঙ্গের ভিত্তিতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, বঙ্গে মৃতদের মধ্যে ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—২১.০৭ শতাংশ, ৬০-৭৫ বছর বয়সিরা ১৫.৩৯ শতাংশ, ৪৫-৬০ বছর বয়সিরা ৭.০৩ শতাংশ।
বুলেটিন অনুয়ায়ী, আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুর হার যেখানে ৪.৪৮ শতাংশ, মহিলাদের মধ্যে তা ৫.৪০ শতাংশ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রাথমিক অনুমান, সামাজিক কারণে মহিলাদের পরীক্ষা সম্ভবত কম হওয়ায় রোগ ধরা পড়ছে দেরিতে। ফলে চিকিৎসায় দেরি হচ্ছে। বুলেটিনের তথ্য বলছে, কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত্যুর ঘটনায় সবচেয়ে বেশি দাপট হাইপারটেনশনের। মৃত পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৭ শতাংশ এবং মহিলাদের মধ্যে ২৯ শতাংশের হাইপারটেনশন ছিল। ক্রনিক কিডনি ডিজ়িজের ক্ষেত্রে পুরুষ ১০ শতাংশ এবং মহিলা ১১ শতাংশ। ডায়াবিটিসের অস্তিত্ব ১৯ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে। কার্ডিয়াক ডিজ়িজের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা যথাক্রমে পুরুষ ১৯ শতাংশ এবং মহিলা ১৮ শতাংশ। কো-মর্বিডিটির নিরিখে ৩১-৪৫ বছরের মধ্যে কার্ডিয়াক ডিজ়িজ, ডায়াবিটিস এবং হাইপারটেশনের প্রকোপও উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন: আগল খুলে কি ডাক গোষ্ঠী সংক্রমণকে?
এ দিনই এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যায় রেকর্ড গড়ল কলকাতা— ১২৮ জন। নতুন করে ন’জনের যে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ছ’জনই কলকাতার বাসিন্দা। কলকাতার পরে আক্রান্তের নিরিখে দক্ষিণবঙ্গের যে জেলা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তা উত্তর ২৪ পরগনা (৫৫)। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে আক্রান্তের নিরিখে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে কোচবিহার (৪৭) এবং জলপাইগুড়ি (৪১)।