Coronavirus in West Bengal

রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ এ বার ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৩৪ জনের

স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৩ হাজার ৯৯৮ এবং কলকাতায় ৩ হাজার ৯৭৩ জনের মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২১ ২০:১৫
Share:

গ্রাফিক: নিরুপম পাল।

রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ২০ হাজারের গণ্ডি পার করল। যা এখনও পর্যন্ত ১ দিনের নিরিখে সবচেয়ে বেশি। কোভিড রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাকালে যা দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে সর্বোচ্চ। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় জেলায় ফের নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার করে হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এর মোট হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৩০ শতাংশে। এই পরিসংখ্যানও এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ১৩৬ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৩ হাজার ৯৯৮ এবং কলকাতায় ৩ হাজার ৯৭৩ জনের মধ্যে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এ ছাড়া, হাওড়া (১,১৯১), হুগলি (১,১৩৭), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১,১১৫), নদিয়া (১,০৪০), বীরভূম (৭৬১), দার্জিলিং (৭১৫), পূর্ব মেদিনীপুর (৮৯৩), পশ্চিম বর্ধমান (৮৪৫), পশ্চিম মেদিনীপুর (৮৪১), পূর্ব বর্ধমান (৬৭৪) এবং মুর্শিদাবাদ (৫৯০) জেলায় নতুন আক্রান্ত ৫০০ বা তার বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৪০ জন।

স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৩৪ জন মৃতের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার বাসিন্দা যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৭। এ ছাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫, জলপাইগুড়িতে ৮, দার্জিলিং এবং হুগলিতে ৭ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪ জন করে রোগী মারা গিয়েছেন। পুরুলিয়ায় ৩, বাঁকুড়া এবং হাওড়ায় ২ জন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুর এবং দুই বর্ধমান জেলায় ১ জন করে রোগী মারা গিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৯৩ জনের কোভিডে মৃত্যু হল বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

Advertisement

সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণ এবং কোভিড টেস্টের উপরে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কোভিড টেস্ট হয়েছে ৬৮ হাজার ১৪২টি। দৈনিক সংক্রমণের হার আগের থেকে সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ২৮.৫৪ শতাংশে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement