ফাইল চিত্র।
মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ঘরে ফিরতে উদ্গ্রীব শ্রমিকদের উপরে পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনার জন্য ‘গুজব’-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে বুধবার তিনি ইঙ্গিত দেন, ভিন্ রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কয়েক দিনের মধ্যে কোয়রান্টিন বা নিভৃতবাস থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তিনি আবার মনে করিয়ে দেন, করোনাভাইরাসের দাপটের মধ্যে এটা কিন্তু সাম্প্রদায়িক কিংবা রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়ানোর সময় নয়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে থাকা কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন ভিন্ রাজ্য থেকে আসা বঙ্গের বাসিন্দা পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কোথাও কোথাও তাঁরা ঝগড়াঝাঁটি করছেন বলে প্রশাসনের কাছে খবর এসেছে। সেই প্রসঙ্গ সরাসরি না-টেনেও মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের এখানে বাইরে থেকে আসা শ্রমিকেরা বিভিন্ন জেলার কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন। ঝগড়াঝাঁটি, অশান্তি না-করে দু’-একটা দিন থাকুন। আপনাদের স্বাস্থ্য একটু দেখে নিয়ে তিন-চার দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে। পুলিশ আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।’’
মঙ্গলবার বান্দ্রা স্টেশনের পাশে ভিড় করেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল। এ দিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। সঙ্কটের মধ্যে কাজ করার জন্য উদ্ধবকে ধন্যবাদ জানান তিনি। কোনও সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাঁরা হাত বাড়াতে প্রস্তুত বলেও তাঁকে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এই সুযোগে কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। এখন পরস্পরকে সহযোগিতা করার সময়। এখন সাম্প্রদায়িক ভাইরাস বা রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়ানোর সময় নয়।’’ মহারাষ্ট্রের কয়েক জন শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা। মঙ্গলবার কেন গুজব ছড়ানো হয়েছিল, কারা শ্রমিকদের স্টেশনে যেতে প্ররোচিত করলেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
পরিযায়ী শ্রমিক, চিকিৎসার জন্য কিংবা বেড়াতে গিয়ে আটকে যাওয়া মানুষজনের ক্ষেত্রে সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান মমতা। তাঁর দাবি, হাতখরচ দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সে-ক্ষেত্রে আটকে পড়া মানুষজনের খবর প্রশাসনের কাছে পৌঁছনোটা জরুরি। তবেই সহযোগিতা করা যাবে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)