বেসরকারি ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজের বন্দোবস্ত করার জন্য আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
করোনা সংক্রমণের অন্যতম শর্ত দূরত্ববিধি। অথচ পর্যাপ্ত গণপরিবহণের অভাবে ভিড়কে সঙ্গী করে অফিসে হাজির হচ্ছেন কর্মীরা। সেই পরিস্থিতিতে বেসরকারি ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজের বন্দোবস্ত করার জন্য আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি, নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসার ক্ষেত্রে (রিপোর্টিং টাইম) ছাড় দে়ওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। ভিড় এড়ানোর সঙ্গে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনস্থানে না-যাওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার রাজ্যের সরকারি অফিসে উপস্থিতির হার ৭০ শতাংশ বাধ্যতামূলক ছিল। মঙ্গল ও বুধবার সরকারি অফিস নিয়ে দু’টি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে সরকারি অফিসে হাজিরা অনেকাংশে কমেছে। তাতেও অফিস যাওয়া-আসার সময়ে বাসের ভিড়ের চেহারায় খুব বেশি বদল হয়নি। বরং ঠেলে-গুঁতিয়ে বাসে জায়গায় করে গন্তব্যে পৌঁছছেন অনেকে। ওই পরিস্থিতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে আরও সহায়ক হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। এ দিন টুইটারের মাধ্যমে বেসরকারি ক্ষেত্রে অফিস নিয়ে তাঁর মনোভাবের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি স্তরে নির্দিষ্ট সময়ে অফিস না-পৌঁছতে পারলেও লাল কালির দাগ পড়বে না, তা সুনিশ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। টুইটারে তা-ও উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘খুব জরুরি প্রয়োজনে জনস্থানে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে’। ত্রাণকর্মী, পুলিশ, চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এবং নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংস্থাকে বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে পারস্পরিক দূরত্ব রাখার সঙ্গে নিজের নিজের পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখার জন্যও পরামর্শ তাঁর। ‘বাংলার ঐতিহ্য ও অদম্য স্পিরিট নিয়ে আমরা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং বিশ্ব অতিমারির মোকাবিলা করছি। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই বাংলা আরও শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ হবে’, টুইটে লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কন্টেনমেন্ট নজরদারিতে রাজ্যের হাতিয়ার প্রযুক্তি