ভ্যাকসিনের বাক্স। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ড দেওয়ার কাজ শুরু হবে ১৬ জানুয়ারি, শনিবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিনে এক বা একাধিক কেন্দ্রে ভিডিয়ো সম্মেলনে তা দেখতে পারেন বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। রাজ্যে টিকা দেওয়ার ৪০৮৯টি কেন্দ্র প্রস্তুত। প্রথম দিনের জন্য বাছা হয়েছে ৩৫৩টিকে। প্রয়োজনে তা কমতে-বাড়তে পারে।
‘‘সংখ্যা নয়, ভ্যাকসিন দেওয়ার গুণগত মানের উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। এক জন ভ্যাকসিন প্রদানকারী প্রতিষেধক দেবেন ১০০ জনকে। যদি ভ্যাকসিন নিয়ে কারও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তার মোকাবিলার ব্যবস্থাও আছে। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা তৈরি আছেন,’’ মঙ্গলবার বলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এক জনই টিকা দেবেন তাঁদের। প্রথম দিনে ৩৫,৩০০ জন টিকা পাবেন বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। টিকা প্রদানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৪৪,০০০ কর্মীকে। প্রথম ডোজ় নিতে এ দিন সকাল ৯টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ২৮টি জেলার ৫,৯৯,৮২৪ জন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীর নাম নথিভুক্ত হয়েছে। ওই সব জেলায় ৬,৪৪,৫০০ ডোজ় বরাদ্দ হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীদের নাম নথিভুক্তির সময়সীমা নির্দিষ্ট ছিল মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত। স্বাস্থ্য সূত্রের খবর, সেই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আর্জি জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। বেসরকারি হাসপাতালেও টিকা প্রদান কর্মসূচি মসৃণ ভাবে চালাতে আলোচনার জন্য আজ, বুধবার এই ধরনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ও প্রতিনিধিদেরকে একটি বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তর ২৪ পরগনা থেকে হুগলি, জেলায় জেলায় পৌঁছচ্ছে কোভিড টিকার ডোজ
আরও পড়ুন: মোট সুস্থ প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ, সক্রিয় রোগী সাড়ে ৭ হাজারের কম