West Bengal

ওষুধ, রেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি সোমেন-সুজনদের

আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে রেশনের ব্যবস্থা করেছেন, তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৩:১৯
Share:

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী।—ছবি সংগৃহীত।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তৎপরতা দেখাচ্ছেন, তার প্রতি আস্থা রেখেই আরও কিছু বিষয়ে বিশেয সহায়তা চেয়ে তাঁর কাছে আবেদন জানালেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা। চিঠি পাঠিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃত্বও। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সমস্যা, দাবি ও প্রস্তাব সরকারকে জানানোর উপরেই এখন জোর দিচ্ছে সব রাজনৈতিক দল।

Advertisement

বহু ওষুধের প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং পাইকারি সরবরাহকারী সংস্থা ভিন্ রাজ্যের। এই তথ্য উল্লেখ করে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী রবিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যা জানা যাচ্ছে, তার ভিত্তিতে মনে করা হচ্ছে আরও দিন পনেরোর ওষুধ মজুত আছে। খুচরো বিক্রেতাদের কাছে ওষুধের টান পড়ছে। ওষুধ জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়লেও আন্তঃরাজ্য পরিবহণের ব্যবস্থা এখনও ঠিকমতো হয়নি। আবার জেলায় জেলায় গ্রামীণ এলাকায় ওষুধ পৌঁছে দেওয়াও জরুরি। মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়টির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সুজনবাবু। প্রস্তাব দিয়েছেন প্রয়োজনে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলারও। আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যে রেশনের ব্যবস্থা করেছেন, তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু অনেক মানুষের এখনও রেশন কার্ড নেই। বিডিও-সহ স্থানীয় প্রশাসনকে দিয়ে এই ধরনের পরিবার বা মানুষকে চিহ্নিত করে তাঁদের রেশন দেওয়ার জন্য কিছু রেশন দোকান আলাদা করে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন সোমেনবাবু।

এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন, রেশনে চাল-আটার সঙ্গে তেল, নুন-সহ ন্যূনতম আরও কিছু প্রয়োজন। বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল থেকে আরও বাড়ানোরও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। গ্রামীণ অর্থনীতির দিকে নজর দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সারা ভারত কিষাণ মহাসভার প্রস্তাব, কৃষি বিপণন দফতরের মাধ্যমে আলু-সহ রবিশস্য লাভজনক দরে কেনা এবং সরকারি বিক্রির ব্যবস্থা হোক, করোনা ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় কৃষকদের সঙ্গে ভাগ-চুক্তি চাষিদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

Advertisement

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement