ছবি: সংগৃহীত।
ডিসেম্বরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) বক্তব্য, যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলাই করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধির অন্যতম মূল কথা। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে সব ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় নয়। ধাপে ধাপে পড়ুয়াদের হাজিরার ব্যবস্থা করা হোক।
বৃহস্পতিবার জুটা-র সাধারণ সভায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় পরে জানান, একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ খুলে দিলে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, প্রথমে ইচ্ছুক গবেষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা যেতে পারে। যে-সব গবেষকের ল্যাবরেটরি ব্যবহার করা জরুরি হয়ে পড়েছে, তাঁরা প্রথমে আসতে পারেন। তাঁদের জন্য হস্টেলও খুলে দেওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গবেষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কেমন থাকছেন, তা দেখার পরে স্নাতকোত্তর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান বিভাগের যে-সব ছাত্রছাত্রীর প্র্যাক্টিক্যাল করা জরুরি, আনা যেতে পারে তাঁদেরও। কলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি থেকেই ক্লাস করতে দেওয়াই সমীচীন বলে মনে করছেন জুটা-র সদস্যেরা। এর পরে স্নাতক পর্যায়ের পড়ুয়াদের একই ভাবে আনা যেতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডিসেম্বরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার কথা বললেও কবে খুলবে, তার দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি। পড়ুয়ারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কী ভাবে আসবেন, নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে জুটা বৈঠকে বসেছিল। শিক্ষকেরা এই নিয়ে আরও আলোচনা করবেন। তার পরে জুটা-র বক্তব্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান পার্থপ্রতিমবাবু। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে করোনা সংক্রমণে ভাটার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা যদি বিশ্ববিদ্যালয় আসে, তাদের স্বাস্থ্যের দিকে অবশ্যই বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে। আমাদের মনে হয়, সব পড়ুয়াকে একসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনলে সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রচণ্ড ঝুঁকি থেকে যাবে।’’