চলছে থার্মাল স্ক্রিনিং।—ছবি পিটিআই।
করোনা রোগীর মৃত্যু কো-মর্বিডিটির কারণে কি না, দীর্ঘ বিরতির পরে ফের তা নির্দিষ্ট করতে চাইছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের করোনা বুলেটিনেই জানানো হয়েছে সে কথা।
মোট আক্রান্ত (৬৮৭৬), নতুন পজ়িটিভ (৩৬৮), মৃত্যু (১০)-সহ প্রতিদিনের ‘কোভিড-১৯ স্টেটাসে’র ফাঁকে এ দিন বুলেটিনে করোনার কারণে মোট মৃত্যুর পাশে তারা চিহ্ন যুক্ত হয়েছে। তার ব্যাখ্যায় লেখা হয়েছে কত জন করোনা পজ়িটিভ রোগীর মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ করোনা, কত জনের কো-মর্বিডিটি, সেই তথ্য শীঘ্র প্রকাশিত হবে।
স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদের একাংশের ব্যাখ্যা, করোনা রোগীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে বিতর্কে ইতি টানতে ৪ মে নতুন ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল রাজ্যের কোভিড বুলেটিন। সে দিন থেকে কো-মর্বিডিটির কারণে রোগীর মৃত্যু সংখ্যা বাহাত্তরই রয়ে গিয়েছে। ঠিক এক মাস পরে করোনা পজ়িটিভ রোগীর মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ নির্ণয়ের সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর। যার পিছনে মোট করোনা-আক্রান্তের নিরিখে এ রাজ্যে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি একটি বড় কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। কো-মর্বিডিটির সূচক সক্রিয় হলে মৃত্যুর হার কমতে পারে।
আরও পড়ুন: উদ্যোগী দেব, নেপাল থেকে বাসে এলেন ৩৬
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কেয়ারটেকারের দেহে এ দিন করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। সেই সূত্রে সাংসদ-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যেরা কোয়রান্টিনে রয়েছেন।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের এক অন্তঃসত্ত্বা মেডিক্যাল ল্যাব টেকনোলজিস্ট এবং তাঁর আড়াই বছরের ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে যাতে কোভিড হাসপাতালে ডিউটি না-দেওয়া হয়, সে জন্য আগে আর্জি জানিয়েছিলেন আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাতে আমল দেননি বলে অভিযোগ। উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক-চিকিৎসক সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
আরও পড়ুন: পর পর তিন দিন রাজ্যে নতুন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা তিনশো ছাড়াল
এ দিকে, কোচবিহারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের বদলির প্রতিবাদে জেলাশাসকের দফতরের সামনে এ দিন স্বাস্থ্যকর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ পূরণ শর্মার হয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সামনে অবস্থান করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কোচবিহারের সিএমওএইচের স্ত্রী স্বামীর বদলির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করেন। বুধবার রাতে একই পন্থা নিয়েছিলেন পূরণবাবু। এ দিন আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচের পোস্টের প্রেক্ষিতে সুমিতবাবুর স্ত্রী আবার লিখেছেন, তিনি তাঁর স্বামীকে ইস্তফা দিতে বলেছেন।