প্রতীকী ছবি।
হাওড়া জেলা হাসপাতালে যে ৪৮ বছরের মহিলা করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তিনি ডুয়ার্স থেকে সালকিয়ায় ফেরার পর এলাকায় ঘুরেছিলেন। দোকান, বাজারও করেছেন। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনও এসেছেন অবাধে।
মঙ্গলবার এই তথ্য জানতে পেরে মাথায় হাত পড়েছে জেলা প্রশাসনের। সালকিয়ার যে গলিতে ওঁর বাড়ি, সেই গলি কার্যত সিল করে দিয়েছে পুলিশ। ওই মহিলার সঙ্গে এক শিশু-সহ যে ১৪ জনের দল ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।
পরিবারের সকলকে সত্যবালা আইডিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সালকিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলা স্বামী, মেয়ে, জামাই ও নাতনি-সহ পরিবারের ১৪ জনের সঙ্গে গত ৬ মার্চ নিউ আলিপুরদুয়ার যান। ছ’দিন ধরে ডুয়ার্স ঘুরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেল
ধরে সালকিয়ায় ফিরে আসেন ১৩ তারিখ। পেশায় শিক্ষক ওই মহিলার ছেলে জানান, বাবা-মা বেড়াতে গেলেও তিনি, তাঁর স্ত্রী এবং চার বছরের মেয়ে বাড়িতেই ছিলেন। সালকিয়ার ওই বাড়ির দোতলায় কাকা-কাকিমা থাকেন বলে ওই যুবক জানান। তাঁরাও বেড়াতে যাননি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে সমস্ত নিয়ম মেনে, শিবপুর শ্মশান ঘাটে ইলেকট্রিক চুল্লিতে ওই মহিলার শেষকৃত্য হয়। পরিবারের কাউকে শ্মশানে আসতে দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ, শ্মশানের মাত্র দু’জন কর্মীর জন্য পিপিই-র ব্যবস্থা করা হলেও অন্য নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য সেই ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই বাকিরা শ্মশান থেকে চলে যান। প্রশাসনের কর্তারা এ দিনও এই মৃত্যুর বিষয়ে মুখ খোলেননি।