করোনায় মৃত ভোলানাথ পালের দেহ। নিজস্ব চিত্র।
কোভিড রোগীদের নিয়ে প্রাথমিক পর্বের সেই ভয়ভীতি কিছুটা কাটলেও এখনও কিছু এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের মধ্যে ‘ছুৎমার্গ’ রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার তারই নজির দেখা গেল হুগলির সিঙ্গুরে। বাঁকিপুর গ্ৰামে করোনায় মৃত এক বৃদ্ধের দেহ দিনভর পড়ে রইল বাড়িতে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ভোলনাথ পাল (৬৬) নামে ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ মারা যান। পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত দেহ নিয়ে যায়নি প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের আতঙ্কে ভুগছে পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
মৃতের ছেলে মানিক পাল বুধবার বিকেলে বলেন, ‘‘গত ১৭ এপ্রিল বাবার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। হোম আইসোলেশনে ছিলেন। শরীর খারাপ হওয়ায় বুধবার রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স আসার আগেই বাবা মারা যান। তার পর থেকে দেহ বাড়ির দাওয়ায় পড়ে রয়েছে। করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে সকলেই সংক্রমণের ভয় পাচ্ছে।’’
অভিযোগ প্রসঙ্গে সিঙ্গুরের বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার বিকেলে বলেন, ‘‘বেলা ১২টার পর মৃতের পরিবার হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ জানিয়েছে। তার পরেই দেহ উদ্ধারে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। ডোমকে খবর দেওয়া হয়েছে। চন্দননগর থেকে শববাহী গাড়ি আনাতে একটু দেরি হচ্ছে। গাড়ি এসে গেলেই দেহ তুলে এনে কোভিড বিধি মেনে সৎকার করা হবে।’’ শেষ পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ স্বাস্থ্য় দফতরের কর্মীরা বাঁকিপুরে গিয়ে বৃদ্ধের দেহ নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।