গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ও দৈনিক সংক্রমণের হার দুই ক্ষেত্রেই রবিবার রাজ্যে সব নজির ভেঙে দিয়েছে কোভিডের সাম্প্রতিক স্ফীতি। দৈনিক সংক্রমণের হার আরও বেড়ে ৩৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল রাজ্যে। সোমবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে ঠিকই, তবে একই সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কোভিড পরীক্ষাও প্রায় ২০ হাজার কমে গেল। রাজ্য জুড়ে নতুন সংক্রমণ কমলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। বাংলায় আরও বাড়ল সক্রিয় রোগী। রবিবারের থেকে কমল দৈনিক মৃত্যু।
সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ২৮৬ জন। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৫৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৪ হাজার ২৯৭ জন। কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া, হুগলিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রবিবারের তুলনায় কমলেও বাড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ওই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৫৫ জন। অন্য দিকে, হাওড়া ও হুগলিতে নতুন করে সংক্রমিত যথাক্রমে ১ হাজার ৬২৫ জন ও ৯৩৪ জন।
পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। অন্য দিকেই সামান্যই কমেছে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলা অর্থাৎ, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমানে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিঙে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪০০-র কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এ ছাড়াও আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বাড়ল নতুন সংক্রমণ। খানিক কমল কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে।
দৈনিক সংক্রমণের হার টানা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। গত সপ্তাহে সোমবার সংক্রমণের হার ছিল ১৯.৫৯ শতাংশ। বা়ডতে বাড়তে এ দিন তা হল ৩৭.৩২ শতাংশ। অর্থাৎ, প্রায় দ্বিগুণ। অন্য দিকে, রবিবার কোভিড পরীক্ষা হয়েছিল ৭১ হাজার ৬৬৪ জনের। সোমবার তা কমে দাঁড়াল ৫১ হাজার ৬৭৫ জনের। প্রসঙ্গত, কোভিড পরীক্ষার কত শতাংশ পজিটিভ, তা-ই বোঝা যায় সংক্রমণের হার থেকে।
রাজ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় মারা গিয়েছেন চার জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিন জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ হাজার ৯১৭ জনের। সোমবার সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১৮৭ জনের। বাংলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও আরও বেড়ে হল ৮৯ হাজার ১৯৪। কলকাতায় ৩৩ হাজার ২৩৯। কলকাতা-সহ রাজ্যের সব জেলাতেই সোমবার বাড়ল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।