তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতালেই। ছবি: পিটিআই
করোনা আক্রান্ত এক ক্যানসার রোগীর মৃত্যু হয়েছে রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সূত্রের খবর, বেনিয়াপুকুর এলাকার বছর পঞ্চাশের বাসিন্দা ওই রোগী গত ৮ এপ্রিল ভর্তি হয়েছিলেন রাজারহাটের হাসপাতালে। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতালেই। অন্য রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। এর আগে ওই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি ব্লাড ক্যানসারের রোগী। এর আগেও তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ৮ এপ্রিল ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর, ক্যানসারের চিকিৎসা চলার মধ্যেই তাঁর শরীরে করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। চিকিৎসকদের একাংশের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ক্যানসার রোগীদেরও অনেক সময় জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ থাকে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করার পরেও উপশম না হওয়ায় তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, গত বুধবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর এই খবর ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরই বিশেষ শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। ওই গাড়িতেই মৃতের দেহ বাগমারি কবরখানায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও খবর: সিসিইউ-কাণ্ডের এগারো দিন পর এনআরএসের নার্স করোনা আক্রান্ত
কোভিড আক্রাম্ত ওই রোগীর মৃত্যুর ফলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতালেই। কারণ, অনেক ক্যানসার রোগী এখনও ভর্তি সেখানে। ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘ক্যানসার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত কম। সেই অবস্থায় কোভিড ভাইরাসের সামান্যতম সংস্পর্শ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তাঁদের জন্য।” অন্য এক চিকিৎসক ইঙ্গিত দেন, ‘‘ওই রোগীর টেস্টের ফল পজিটিভ আসার আগেই তিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন। প্রাথমিক ভাবে উপসর্গ বোঝা যায়নি। ফলে বাকি রোগীদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়।’’ এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
আরও খবর: অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরাই খাওয়াচ্ছেন রোগীর স্বজনদের
অন্য দিকে তিলজলা রোড এলাকায় এক ব্যক্তির করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁর পরিবারের ১১ জন সদস্যকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকা ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত। সেই অনুযায়ী এলাকায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ করছেন পুরকর্মীরা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)