গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
টিকার জন্য প্রহর গোনার অপেক্ষা শেষ। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন, এই দু’টি টিকাকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের চেহারাটাও দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছে। শনিবার রাজ্যে প্রথম দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নেমে গিয়েছিল এক হাজারের নীচে। রবিবারও সেই পরিস্থিতি। এ দিন শনিবারের থেকে বেড়েছে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। তবে এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন বলে দিচ্ছে, আগের থেকে অনেক কমেছে সংক্রমণের ধার।
রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, ৮৯৬ জন নতুন করোনা সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে (শনিবার তা ছিল ৮৬৩ জন)। এ দিনের বৃদ্ধি যোগ করলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৭৫ জন।
রবিবারও রাজ্যে যত জন নতুন করে আক্রান্ত তার চেয়ে অনেক বেশি দৈনিক সুস্থের সংখ্যা। গত বেশ কয়েক দিন ধরেই দু’টি সংখ্যা মধ্যে ফারাক অনেকটা। এ দিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৪৩২ জন। রাজ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৩৭ জন।
আরও পড়ুন: দুই টিকাই ১১০ শতাংশ নিরাপদ, আশ্বস্ত করলেন ডিসিজিআই
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক চাপে ছিলেন সৌরভ? দেখা করার পর বিস্ফোরক অশোক
রবিবার রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ৯ হাজার ৭৯২ জন। এ দিন কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত ৭। এ ছাড়াও হাওড়া এবং হুগলিতে ৩ জন করে মারা গিয়েছেন।
গত কয়েক দিন ধরেই কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। রবিবার আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৪ জন। এই নিয়ে কলকাতায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৪ হাজার ১০ জন। মোট সংক্রমণের নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৩৩ জন। অবশ্য এ দিন সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কলকাতাকে ছাপিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৩।
রাজ্যের অন্যান্য জেলায় করোনার প্রকোপ অনেকটা কম। এক মাত্র নদিয়ায় দৈনিক আক্রান্ত ৭০ জন। তার পর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫১। বাকি সর্বত্র দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা তার নীচে।
প্রতিদিন যত সংখ্যক মানুষের কোভিড পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলে। রবিবার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা শনিবারের চেয়ে বেশি। এ দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ হাজার ২৫৬ জনের। কিন্তু করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে ৮৯৬ জনের। এ দিন সংক্রমণের হার হয়েছে ২.৭৮ শতাংশ।