Coronavirus

কোয়রান্টিন সেন্টারে অব্যবস্থার অভিযোগ

ওই চিকিৎসক, নার্স এবং টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের পাল্টা অভিযোগ, শনিবার নিয়ম ভেঙে তাঁদের একাংশ কোয়রান্টিন সেন্টারের বাইরে বার হয়ে ঘোরাফেরা করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৫:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

তাঁরা কলকাতা থেকে বিশেষ বাসে এসেছিলেন উত্তরবঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে সেই বাসে ছিলেন কলকাতার বাসিন্দা এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ। লালারস পরীক্ষায় তাঁর করোনা সংক্রমণের বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই চক্ষু বিশেষজ্ঞকে মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দলের চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান মিলিয়ে বাকি ২৬ জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের কাছে কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। সেই সেন্টারের অব্যবস্থা সম্পর্কেই ওই ডাক্তারেরা শনিবার সরব হয়েছেন। তাঁদের বার্তা বলে বেশ কিছু মেসেজ এবং ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার দফতরেও তাঁরা অভিযোগ পাঠিয়েছেন।

Advertisement

ওই চিকিৎসক, নার্স এবং টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের পাল্টা অভিযোগ, শনিবার নিয়ম ভেঙে তাঁদের একাংশ কোয়রান্টিন সেন্টারের বাইরে বার হয়ে ঘোরাফেরা করেছে। তখন স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁদের ঘিরে ধরেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ এসে ওই চিকিৎসকদের কোয়রান্টিন সেন্টারের ভিতরে পাঠালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। চিকিৎসকদের এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চিকিৎসকদের কয়েক জন জানান, ‘‘আমাদের উপসর্গ নেই। পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে কোয়রান্টিনে থাকতে হবে না বলেই জানি।’’ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ প্রবীরকুমার দেব বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসকদের বোঝানো হচ্ছে। কোয়রান্টিনে থাকার ভাল ব্যবস্থার জন্য চিকিৎসকেরা দাবি করছেন। সরকারি ব্যবস্থায় যতটা ভাল সম্ভব, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।’’

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ জনের মধ্যে ২১ জন চিকিৎসক, ৩ জন নার্স এবং ২ জন টেকনিশিয়ান। ওই বাসে এসেছেন রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ৩ জন চিকিৎসক, নার্স। তাঁদেরও কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা পুলিশের ৫ জনকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে তাঁরা বহরমপুর টুরিস্ট লজে বিশ্রাম নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। টুরিস্ট লজ জীবাণুমুক্ত করা এবং লজের কর্মীদের কোয়রান্টিনে পাঠাতে বলা হয়েছে বলেও খবর। এই চিকিৎসকেরাই এ দিন অব্যবস্থার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাজ্য থেকে এ সবের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে পাঠানো হলেও তা ঠিক মতো খরচ করা হচ্ছে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement