ছবি: সংগৃহীত।
হাতে নয়। রিসেপশনে থাকা বার কোড মোবাইলে স্ক্যান করলেই ফুটে উঠবে মেনু কার্ড। করোনা সংক্রমণ রুখতে এ বার নিজেদের ট্যুরিস্ট লজগুলিতে এমনই ব্যবস্থা চালু করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। লকডাউনের জেরে কয়েক মাস বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র। ফের ধাপে ধাপে তা চালু করে, পর্যটক টানতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘বেঙ্গল ওয়েলকামস ইউ ব্যাক’-এর প্রচারও শুরু করছে দফতর।
আনলক পর্ব শুরু হতেই উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ১০টি পর্যটন স্থল চালু করেছে রাজ্য পর্যটন দফতর। মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারকে সঙ্গী করে পাহাড়, সমুদ্র, জঙ্গল, নদীর সান্নিধ্যে গিয়ে বন্দিদশা কাটানোর যে সুযোগ ফের খুলে গিয়েছে, এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বার্তাই দিচ্ছে দফতর।
তাই রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগম (ডব্লিউবিটিডিসি)-এর ফেস বুক পেজে ‘বেঙ্গল ওয়েলকামস ইউ ব্যাক’ ট্যাগলাইনে পোস্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন পর্যটন স্থলের ভিডিয়ো। রাঙা মাটির শান্তিনিকেতন থেকে পাহাড় ঘেরা মর্গান হাউস কিংবা লাটাগুড়ির জঙ্গল ঘেরা তিলাবাড়ি বা হুগলি নদীতে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের শোভা ফুটে উঠেছে দেড় মিনিটের ভিডিয়োয়। পর্যটকদের আগ্রহ বাড়াতে কোনওটিতে আবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার পঙ্ক্তিও ব্যবহার করেছে দফতর। এ ছাড়াও, পর্যটন দফতরের ট্যুরিস্ট লজে করোনা সংক্রমণ রুখতে কী ধরনের সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে এবং পর্যটকদের অভিজ্ঞতার কথাও থাকছে ওই সব ভিডিয়োয়। ওই ফেসবুক পেজেই পর্যটকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে দফতর।
দফতর সূত্রের খবর, লজের ঘরের যে সব জায়গায় বার বার হাত পড়বে, সেই সব জায়গা জীবাণুনাশক দিয়ে ঘন ঘন মোছা হচ্ছে। প্রতিটি ঘর, বারান্দা, রিসেপশন স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে। ওই কর্তার কথায়, ‘‘লজে পৌঁছনোর পরেই পর্যটকদের মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ারের ছোট বোতল দেওয়া হচ্ছে।’’ রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, তিলাবাড়ি, বীরভূমের রাঙাবিতান, মাইথন, ডায়মন্ডহারবার, বকখালি, ব্যারাকপুর মালঞ্চ, দিঘা, বিষ্ণুপুরের টুরিস্ট লজ চালু করা হয়েছে মন্ত্রী বলেন, ‘‘কালিম্পংয়ের মর্গান হাউস খোলা হলেও জিটিএ-র তরফে জানানো হয়েছে জুলাইয়ে সেখানে পর্যটক যেতে পারবে না।’’ ৩৪টি টুরিস্ট লজ সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল দফতর। কিন্তু লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ হয়েছিল। সেগুলি পুনরায় ঢেলে সাজানো শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (ট্যাব)-র সভাপতি বাচ্চু চৌধুরী বলেন, ‘‘লোকজনও আবার খোঁজখবর শুরু করেছেন। কিছু বুকিংও হচ্ছে। তবে গণপরিবহণ নয়, লোকজন এখন গাড়ি নিয়েই বেড়াতে যাচ্ছেন। সেই ব্যবস্থাও আমরা চালু করছি।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বাঙালির তো পায়ের তলায় সর্ষে। তাঁদের আর আটকাবে কে!’’